ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কর্মস্থলে না গিয়েই বেতন তুলছেন চিকিৎসক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
কর্মস্থলে না গিয়েই বেতন তুলছেন চিকিৎসক

ঢাকা: প্রায় সাত মাস ধরে বেতন তুলছেন তিনি। কর্তব্য রোগীদের সেবা দেওয়া হলেও নিয়মিত অনুপস্থিত থেকেছেন কর্মস্থলে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এভাবেই দিনের পর দিন দায়িত্বে অবহেলা করে করেছেন রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. আব্দুল কাদের (কোড নং-৪২২৬৮)। 

সম্প্রতি অভিযানে এমনটিই দেখেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  

দুদক সূত্র বলছে, অধিদফতরের পদায়ন ও বদলির আদেশের পরও অর্থো-সার্জারি বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক দীর্ঘ ছয়মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন না-অভিযোগ কেন্দ্রে (দুদক হটলাইন-১০৬) অভিযোগ এলে সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ অভিযান চালায় দুদক।

 

রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির পরিচালক শফিকুর রহমান ভূঁইয়া।  

অভিযানে জানা যায়, চিকিৎসক আব্দুল কাদের স্বাস্থ্য অধিদফতর রাজধানীর মহাখালীতে ওএসডি থাকা অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে সংযুক্ত ছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ গত বছরের ১৯ জুলাই তাকে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করে।  

এরই পরিপ্রেক্ষিতে নড়াইল সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে গত বছরের ২৯ জুলাই ছাড়পত্র দিয়ে যথাসময়ে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ দিতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু আব্দুল কাদের এখনও পর্যন্ত সেখানে যোগ দেননি। কিন্তু নিয়মিতই সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করে যাচ্ছেন এই চিকিৎসক।  

অভিযানের কথা উল্লেখ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদক সূত্র বলছে, ডা. কাদের তার বদলির আদেশ বাতিল করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত না হয়েই প্রায় সাতমাসের মতো কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি।   

এ ঘটনায় দুদকের উপস্থিতিতেই সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা তাৎক্ষণিকভাবে ডা. কাদেরের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন।  

যোগাযোগ করা হলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের নৈরাজ্য শুধু চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থিই নয়, অবধারিতভাবে এটা দুর্নীতি। কারণ সরকারি পদে বহাল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা এবং জনগণকে সেবা না দিয়ে বেতন-ভাতা তোলা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।  

এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

** গণশিক্ষা-উচ্চশিক্ষা বিভাগে দুদকের প্রতিবেদন, সুপারিশ

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
আরএম/আরআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।