ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পরীক্ষিত ক্যাপসুল দিয়েই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৯
পরীক্ষিত ক্যাপসুল দিয়েই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশীয় কোম্পানির যে ক্যাপসুল দিয়ে সারাদেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলছে, সেগুলো ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপর শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, সারাদেশে আড়াই কোটি শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ বিষয়ে আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে পারি না।

তাই আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

শনিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সারাদেশের এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রে প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় এই ক্যাম্পেইন চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আমি মা-দের বলবো, ক্যাপসুলটি খাওয়ানোর আগে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, সুষম খাদ্য খাওয়ান। কেননা, শিশুর পেট ভরা থাকলে ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর কোনো জটিলতা সৃষ্টি হবে না। তাছাড়া কোনো গুজবে কান দেবেন না। আমাদের আরও ২০ হাজার অস্থায়ী কেন্দ্রে ক্যাম্পেইনটি চলছে।

এই ক্যাম্পেইন আরও দুই-তিন দিন চলবে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকাসহ সারাদেশে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে, এটা নিশ্চিত করবো আমরা। এ কারণে আজ ছাড়াও আগামী দুই থেকে তিন দিন চলবে ক্যাম্পেইনটি। আমরা প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে যাবো।

এর আগে বাদ যাওয়া ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তদন্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তদন্তে এখন পর্যন্ত এমন কোনো রিপোর্ট আসে নাই যে আমরা গভীরভাবে চিন্তিত হবো। আমাদের ল্যাবে আগের ক্যাপসুলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ওটা শেষ হলে আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাবো।

শনিবার মন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত শিশু হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে ক্যাম্পেইন বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাহিদ মালেক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান, ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. আব্দুল আজিজ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. শফী আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।