চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ বা ডায়েটারি ফাইবার হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। খাদ্যের আঁশ কোলেস্টেরলের সাথে যুক্ত হয়ে তা কোলেস্টেরলকে অন্ত্রে পরিশোধিত হতে বাধা দেয়।
বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, পূর্ণ খাদ্যশস্য, সীম ও ডাল জাতীয় খাবার এবং কলা, আপেল, কমলা ইত্যাদি রকমারী ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ রয়েছে।
হৃদরোগের প্রধান কারণ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে। পরিকল্পিত খাদ্যগ্রহণ নীতি মেনে চললে এই কোলেস্টেরল আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে যে সব খাবার প্রতিদিনের আহারতালিকায় রাখতে হবে অথবা বাদ দিতে হবে এবার তা জেনে নিন।
আঁশযুক্ত খাদ্য বেশি খাবেন:
- সবুজ শাক-সবজি, সালাদ
- ছোলা, বুট
- টক ফল- খোসা সহ পেয়ারা, আমলকি, কামরাঙ্গা, আমরা, লেবু ও বরই।
- সব রকমের মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ
- উদ্ভিদ্জ তেল-কর্ণওয়েল, সানফ্লাওয়ার ওয়েল, সয়াবিন তেল, সরিষার তেল (ক্যালরি অনুযায়ী)।
যে সব খাবার পরিমিত পরিমাণে খাবেনঃ
- শর্করা জাতীয় খাবার
- দুধ বা দুধের তৈরি খাবার (সর ছাড়া দুধ)
- চিনি-মিষ্টি জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম।
যে খাবারগুলোতে কোলেস্টেরলের পরিমান বেশি, সেগুলো কম খেতে হবেঃ
- খাসির মাংস
- রেড মিট বা লাল রংয়ের মাংস এবং তার চর্বি
- মগজ, কেননা মগজে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে
- কলিজা
- গলদা চিংড়ি
- মাছের ডিম
- ডিমের কুসুম (ডিমের সাদা অংশ খাওয়া যাবে) হাঁস ও মুরগির চামড়া
- হাড়ের মজ্জা
- ঘি, মাখন, ডালডা, নারকেল।
যে সব খাবার কোলেস্টেরল কমায়ঃ
মেথি, করলার রস, ইসুবগুলের ভূষি এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।