ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, চিকিৎসকদের বিভাগীয় পদোন্নতি (ডিপিসি) প্রদানের ক্ষেত্রে যে কারিগরি ক্রটি দেখা দিয়েছে তা শিগগির সমাধান করা হবে। এছাড়া ডিপিসির মাধ্যমে চিকিৎসকদের পদোন্নতি দিয়ে বিদ্যমান সংকট দূর করা হবে।
শুক্রবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে সপ্তম দক্ষিণ পূর্ব এশীয় আন্তর্জাতিক ডার্মাটোলজি সমেম্মনের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
বাংলাদেশ ডার্মাটোলজিক্যাল সমিতির সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্টানে আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক কনফারেন্স অব ডার্মাটোলজিস্ট এর সভাপতি অনিল কুমার ঝা, মহাসচিব হরিনারায়ন গুপ্ত, পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন অব ডার্মাটোলজিষ্টের সভাপতি অধ্যাপক আতিক হোসানাইন কাজমী, নেপাল অ্যাসোসিশেন অব ডার্মাটোলজিষ্ট এর সভাপতি অধ্যাপক সুধা আগরাওয়াল ভারতের অ্যাসোসিয়েশন অব ডার্মাটোলজিষ্ট এর কোষাদক্ষ জয়দেব বেদকেরুর প্রমুখ।
দুদিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশগুলোর ৫ শতাধিক চর্ম, যৌন এবং এইচআইভি/এইডস রোগ বিশেষজ্ঞ অংশ নিবে। সম্মেলন শেষ হবে আগামীকাল শনিবার। সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ডার্মাটোলজিক্যাল সমিতি।
এ সময় রুহুল হক বলেন, বাংলাদেশে ডার্মাটোলজি চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। তবে সরকার এব্যাপারে আন্তরিক। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিদেশি গিয়ে বা দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে প্রশিক্ষণ দিতে সরকার অর্থ দিতে প্রস্তত। তবে শিক্ষার্থীদের আরও এগিয়ে আসতে হবে এই বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে সব মেডিকেল কলেজগুলোতে ডার্মাটোলজি বিভাগ রয়েছে। তবে পর্যায় ক্রমে মাঠ পর্যায়ে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মোদাচ্ছের আলী বলেন, অর্থনীতিসহ নানা ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে দক্ষিণ এশীয়ার দেশগুলোকে আরও এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, অর্থনৈতিক শক্তি সব কিছুর মূল। তাই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে এক হয়ে চলতে হবে। যেকোনও সমস্যায় এক সঙ্গে কথা বলতে হবে।
এদিকে আয়োজকরা জানায়, দুদিনব্যাপী এ সম্মেলনে চর্ম, যৌন, এইচআইভি/এইডস, কুষ্ঠু, আর্সেনিক সমস্যাসহ পরিবেশগত কারণে সৃষ্ট রোগ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা প্রবন্ধ তুলে ধরবেন এবং আলোচনায় অংশ নেবেন। দুদিনে মোট ১৭টি কর্ম সেশন ও মুক্ত সেশনে বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১১