ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ভুয়া ঠিকানা দিয়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ নারীর বিরুদ্ধে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
ভুয়া ঠিকানা দিয়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ নারীর বিরুদ্ধে

ময়মনসিংহ: ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী (নারী)’ পদে নিয়োগ। শর্ত ছিলো ত্রিশালের বৈলর ইউনিয়ন থেকে এ পদে আবেদন করবেন ১০ জন। কিন্তু সবাই আবেদন করলেও চাকরি ভাগিয়ে নিয়েছেন সালমা আক্তার নামে একজন। এক্ষেত্রে তিনি নিয়োগ শর্তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

‘ভুয়া ঠিকানা’ ব্যবহার করে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের পাটুলি গ্রামের এ বাসিন্দা এ চাকরি ভাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী অন্যরা। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে ময়মনসিংহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভেতরে-বাইরে।

জানা যায়, ২০১৫ সালের জুনে ময়মনসিংহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরিবার কল্যাণ সহকারী (নারী) পদে ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের নামোল্লেখ করে সেখান থেকে ১০ জনের আবেদন চাওয়া হয়।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন বছরের মাথায় ২০১৮ সালে এ পদে চাকরি হয় সালমা আক্তারের। এক্ষেত্রে তিনি তার বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করেন বৈলর মঠবাড়ি গ্রাম। তবে সরেজমিনে ওই ঠিকানায় সালমা আক্তার নামে ওই নারীকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার বাড়ির খোঁজও পাওয়া যায়নি।

তবে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে জমা দেওয়া সালমার জাতীয় পরিচয়পত্র ঘেঁটে জানা গেছে, তার বাড়ি বালিপাড়া ইউনিয়নের পাটুলি গ্রামে। অথচ আবেদনে তিনি নিয়োগ শর্তের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেই ভিন্ন কায়দায় চাকরি হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় চাকরিবঞ্চিত ফাতেমা আক্তার বিথী ও জারিন তাসনিন শারমিনসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি হয়নি। অথচ নিয়োগ বিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন করেই অন্য এলাকার একজনকে কিন্তু অবৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আমরা এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও এ নিয়োগ বাতিল চাই।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রার্থীকে চাহিদা অনুযায়ী অবশ্যই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। মিথ্যা ঠিকানা দিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করলে বাতিল হবে নিয়োগ।

তবে চাকরিবঞ্চিতদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও এখনো কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এনামুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সালমা আক্তার ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি নিয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই।

তবে এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে মাসখানেক আগে একটি তদন্ত হয়েছে, সে তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে সেখানে জমাও পড়েছে। এ বিষয়ে আমাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমি যতোটুকু জানি সালমা আক্তার সব নিয়োগের শর্ত পূরণ করেই চাকরি নিয়েছেন। এখানে বাণিজ্যের কোনো ঘটনা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এমএএএম/এএটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।