মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে জামালপুর সিভিল সার্জন ডা. গৌতম রায় এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ডেঙ্গু নিয়ে জেলা হাসপাতালে চাপ কমাতে খুব কম সময়ের মধ্যে উপজেলা পর্যায় চিকিৎসক এনে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ইতোমধ্যেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৫ রোগী। এদের মধ্যে ভয়াবহ অবস্থার কারণে একজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং আরেকজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এক রোগী সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। তার প্রতিবেদন এলেই তাকে শনাক্ত করা যাবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। এছাড়াও জেলার বকশীগঞ্জে দু’জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- জামালপুর সদর উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আলিফ (২৮), দিগপাইত গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (২০), হামিদপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে তালাত (২২), শহরের বানিয়াবাজার এলাকার আমিনুরের ছেলে সানোয়ার হোসেন (২৫), দেউরপাড় চন্দ্রা গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে মিলন হোসেন (২৫), মানিকের চর গ্রামের উমর আলীর ছেলে সোহেল (২০), দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সীমারপাড়া গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে সাব্বির (২২), ইসলামপুর উপজেলার গঙ্গাপাড়া গ্রামের আতাব আলীর ছেলে রাসেল (২৫) ও মেলান্দহ উপজেলার ইমামপুর গ্রামের সামিদুল হকের ছেলে ফিয়াস মাহমুদ (২০), বকশীগঞ্জ সদরের সাব্বির হোসেন (২০) ও নিলক্ষিয়ার বাসকান্দা গ্রামের সোহেল রানা (২৬)। ডেঙ্গুজ্বরের সন্দেহের মধ্যে রয়েছেন জামালপুর সদর উপজেলার চর যথার্থপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে সাদ্দাম (২৩)। প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন হাতে পেলেই তাকে শনাক্ত করা যাবে।
অপরদিকে গুরুতর রোগীদের মধ্যে কেন্দুয়া খামারপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) গত ২৫ জুলাই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হলে ওইদিনই তাকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা ও পৌরসভার হাটচন্দ্রা গ্রামের শামসুল হকের ছেলে কবির হোসেনকে (২৫) মঙ্গলবার মমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানায়, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জামালপুর সদর হাসপাতালে আরও ৮ জন রোগী ডেঙ্গুজ্বরের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালেই কেবল ডেঙ্গু রোগীদের রক্ত পরীক্ষা হওয়ার হাসপাতালে চাপ বেড়ে গেছে।
ডা. শফিকুজ্জামান আরও বলেন, সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বর শনাক্ত করার জন্য কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। এখন ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত করতে বাইরে ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তিন স্তরের রক্ত পরীক্ষা করাতে রোগীদের ব্যয় করতে হচ্ছে ১ হাজার ৫শ টাকা। কিন্তু হাসপাতালে ব্যবস্থা থাকলে রোগীদের বাড়তি টাকা খরচের ঝামেলা পোহাতে হতো না। দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেতো।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতলের সহকারী সহকারী পরিচালক ডা. প্রফুল্ল কুমার সাহা জানান, ডেঙ্গুজ্বরের রক্ত পরীক্ষা বাইরে ক্লিনিকে যেটা করা যায়, তা অনেকটা অনুমাননির্ভর। তাই এ হাসপাতালেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যাতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এএটি