ছয় জেলায় এ পর্যন্ত ১২৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম)সহ বিভিন্ন জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোমবার (২৯ জুলাই) দিনগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের নাসির খানের ছেলে আসলাম খান (২৪) ও পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার গোসনতারা গ্রামের আমদ আলীর ছেলে সোহেল (১৮)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ৭২ জনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩১ জন রোগী। বাকিরা চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফ্রি করে দিয়েছে শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেসঙ্গে চিকিৎসাসেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসক ও নার্সদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসাতেই সুস্থ হওয়া সম্ভব। তাই গায়ে জ্বর, মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা এবং বমি-বমি ভাব দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালায় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলা বাদেই বিভাগের অপর পাঁচ জেলায় এখন পর্যন্ত ৫৫ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। যার মধ্যে পটুয়াখালী জেলায় ২০ জন, ভোলা জেলায় ১১ জন, পিরোজপুর জেলায় পাঁচজন, বরগুনা জেলায় ১৮ জন ও ঝালকাঠি জেলায় একজন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া নতুন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২৫ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এমএস/আরবি/