বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
ডেঙ্গু রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন। পাশাপাশি খুব শিগগির চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে এ সংক্রান্ত একটি সেমিনার করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে জরুরি সভা করেছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আবদুর রহিম।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় নগরের বাউন্ড কম্পাউন্ডের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বরিশালের সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক ব্যানার টানানোর নির্দেশ দেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। এর পাশাপাশি সভায় ডেঙ্গু রোগ শানাক্তকরণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা সরকার নির্ধারিত ফি-তে করা এবং সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিভাগীয় পরিচালক আবদুর রহিম বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় এরইমধ্যে নতুন গাইডলাইন তৈরি করেছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া অনিবন্ধিত স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে এ জ্বরের চিকিৎসা করানো যাবে না। একইসঙ্গে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের চিকিৎসায় বা জ্বর নিয়ন্ত্রণে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ বা চিকিৎসা- যেমন অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ, এনএসএআইডি, স্টেরয়েড, ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা, প্লাটিলেট কনসেনট্রেট চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এমএস/টিএ