রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শাহীন আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে দুপুর পর্যন্ত ২২ জন রোগী ভর্তি আছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভর্তি হওয়া ৪১ জনের মধ্যে ১১ জন নারী, একজন শিশু ও ২৯ জন পুরুষ ছিলেন। মারা গেছেন দু’জন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু মোকাকিলায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। এ টিম ২৪ ঘণ্টা ডেঙ্গু রোগীর শতভাগ চিকিৎসা নিশ্চিত করছেন। সার্বক্ষণিক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের তদারকিতে আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের আরও ভালো চিকিৎসাসেবা কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বশেষ শনিবার (৩ আগস্ট) আবার মেডিকেল বোর্ড বসানো হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক তদারকিতে রয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোগীর ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত সেসব রোগী ভর্তি হয়েছেন, এদের সবাই জেলার বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজারে আসেন। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
জ্বর হলে হেলা না করে দ্রুত রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার আহ্বান জানান ডা. মহিউদ্দিন। পাশাপাশি সতর্ক থাকার কথাও বলেন তিনি।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. আবদুল মতিন জানান, কক্সবাজারে যাতে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়াতে না পারে সেজন্য প্রত্যেক ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলায় মাইকিং করে সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের বাইরে থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অনেকে কক্সবাজার আসছেন। এটি আমাদের জন্য ঝুঁকির বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
এসবি/