ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শেবাচিমে কমছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
শেবাচিমে কমছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা শেবাচিম হাসপাতালে কমছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ছবি: বাংলানিউজ

ব‌রিশাল: কোরবানির ঈদের পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হওয়ার সংখ্যা তেমনভাবে বাড়েনি। বরং রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে। স্বাভাবিক হারে বেড়েছে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করা রোগীর সংখ্যা। আর ঈদের পর এ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেনি।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, শেবাচিম হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন ‍পুরুষ, ১৫ জন মহিলা ও ৯ জন শিশুসহ ৬১ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়।

আগের দিন শুক্রবার সকালের হিসেব অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জন এবং বৃহস্পতিবার সকালের হিসেব অনুযায়ী ৬৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়।

তবে এর আগ গড়ে ৮০ জন করে রোগী ভর্তি হয়েছে প্রতি ২৪ ঘণ্টায়।

অপরদিকে শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে বিদায় নিয়েছেন ৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী। এরমধ্যে ৩৬ জন ‍পুরুষ, ১১ জন নারী ও ১২ জন শিশু রয়েছে। শুক্রবার সকালের হিসেব অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ৯১ জন এবং বৃহস্পতিবার ১১৪ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছে। গড় হিসেবে ঈদের আগের দিন থেকে ডেঙ্গু রোগীর হাসপাতাল ত্যাগের সংখ্যা বেড়েছে। ঈদের আগের দিন ১১ আগস্ট সকালের হিসেব অনুযায়ী সর্বোশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১০৬ জন রোগী হাসপাতাল ত্যাগ করেছে।   

ফলে গত তিনদিন ধরে হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও কমছে। সর্বশেষ ঈদের পরে ১৪ আগস্ট সকালের হিসেব অনুযায়ী, হাসপাতালে ৩৪৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। এরপর ১৫ আগস্ট এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯৯ এবং ১৬ আগস্ট তা কমে দাঁড়ায় ২৫৮ জনে।

শনিবার সকালের হিসেবে অনুযায়ী, হাসপাতালে বর্তমানে ২৬০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরমধ্যে ১৪৬ জন পুরুষ, ৫৬ জন নারী ও ৫৮ জন শিশু রয়েছে।

গত ১৬ জুলাই থেকে আজ সকাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১ মাসে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ১ হাজার ১৭২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে ৯১২ জন রোগী। আর মৃত্যু হয়েছে ৪ জন রোগীর।

বাংলা‌দেশ সময় : ১০৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এমএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।