তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোধে সারা বছর অভিযান চলবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর সচেতনতার জন্য বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ১৭টি জেলার জেলা পরিষদের ২০জন নব-নির্বাচিত সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা জানান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী বলেন, এবছর এডিস মশার প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেশি হলেও মৃত্যুর হার কম রয়েছে। আমাদের সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আমরা যত সচেতন হবো ডেঙ্গুর প্রকোপ তত কমবে। তাই ডেঙ্গু পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। এবছর বিশ্বে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেশি। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম। তবে তা ২০০০ সালের হিসাবের তুলনায় বেশি। সবাই মিলে কাজ করলে দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারা বছরই ডেঙ্গু রোধে অভিযান চলছে। আমরা যে পরিমাণ ডেঙ্গু মশার আক্রমণ দেখেছি। তা আগে কখনও দেখিনি। এবার বিশ্বজুড়েই এডিস মশা বেশি। বর্ষা মৌসুমে এ মশা বেশি ডিম দেয়। ডিম থেকে লার্ভা হয়। লার্ভা থেকে ডেঙ্গু হয়। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে ডিম দিলে তা থেকে এডিস মশার জন্মানোর হার কম থাকে। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ডেঙ্গুর তীব্রতা কম থাকে। তারপরও আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।
থাইল্যান্ডের উদাহরণ টেনে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ লাখ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। থাইল্যান্ডে ২৮ হাজার ৭৮৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৪৩ জন। দেশটির একটি পত্রিকা জানিয়েছে, যা গত ৫ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ। ফলে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞা কাজে লাগিয়ে আমাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। এখন সে অনুযায়ী কাজ করবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
জিসিজি/ওএইচ/