এছাড়া প্রতি বছর একই কারণে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রায় ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এসব অঞ্চলের মানুষেরা। সেই কারণে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী পেশেন্ট সেফটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ডব্লিউএইচও।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর পেশেন্ট সেফটি দিবস থেকে এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে বলে সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জন রোগী প্রাথমিক ও অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসা নেওয়ার সময় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বা ভুলের শিকার হচ্ছে রোগ নির্ণয় থেকে ওষুধ গ্রহণ পর্যন্ত। ওষুধের কারণেই প্রতি বছর ৪২ বিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ হচ্ছে। তাছাড়া অনিরাপদ অপারেশন প্রক্রিয়ার কারণে ২৫ শতাংশ অর্থাৎ এক মিলয়ন রোগীর প্রতি বছর মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
রোগীর অনিরাপদ চিকিৎসা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলছে ডব্লিউএইচও। এক্ষেত্রে তারা জরুরিভিত্তিতে অভিযুক্ত দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। এক্ষেত্রে রোগীদেরকে এ সমস্যা নির্মূলে সংযুক্ত করতে বলেছে সংস্থাটি।
তারা বলছে, রোগীদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ১৫ শতাংশ সমস্যা দূর করা সম্ভব। একইসঙ্গে চিকিৎসা খাতের খরচও অনেক কমানো সম্ভব।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. টেডরস আধানম বলেন, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে গিয়ে কেউ ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। বিশ্বে প্রতি মিনিটে পাঁচ জন হাসপাতালে সঠিকসেবার অভাবে মারা যাচ্ছে। আমরা রোগীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টায় আছি। তাদেরকে এ সংক্রান্ত ক্ষতি সম্পর্কে জানিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এছাড়া চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরও ‘রোগীদের সেফটি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এমএএম/এসএ