ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ডেঙ্গু সন্দেহে মৃত্যু ২৩৬, নিশ্চিত ৮১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৯
ডেঙ্গু সন্দেহে মৃত্যু ২৩৬, নিশ্চিত ৮১

ঢাকা: সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) কাছে ডেঙ্গু সন্দেহে ২৩৬টি মৃত রোগীর তথ্য এসেছে। এরমধ্যে ১৩৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ৮১টি ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জানা যাচ্ছে। এ সংখ্যা এখনও সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত ৮১ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে এপ্রিলে ২, জুনে ৬, জুলাইয়ে ৩২, আগস্টে ৩৭ এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৪ জনের মৃত্যু হয়। আর এসব মৃত্যুর মধ্যে শিশুমৃত্যুর হারই সবচেয়ে বেশি বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ৩৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল ৩৭১ জন। অর্থাৎ সারাদেশে এই সময়ে রোগী কমেছে।

এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে মাসে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৬ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ দিনে ১৭ হাজার ৫৬৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া বাংলাদেশে ২০১৯ সালেই সর্বোচ্চ ডেঙ্গুতে আক্রান্তের রেকর্ড স্থাপিত হয়েছে। যার মধ্যে আগস্ট মাসে ছিল সর্বোচ্চ।

ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে রাজধানীর মাত্র ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫২৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। একই সময়ে ঢাকার বাইরে ৯৩৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমছে না। সারাদেশে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ৪৬০ জন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন ১০২ জন ভর্তি হয়েছেন ও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১২৫ জন। ঢাকার বাইরে আরো ২৩৪ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ছাড়পত্র পেয়েছেন ২২৩ জন।

রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৯, মিটফোর্ডে ১৫, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৪, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১৪, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে ২, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩, বিজিবি হাসপাতাল পিলখানা ঢাকায় ১, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০ জনসহ ঢাকা শহরের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ১০২ জন ভর্তি রয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ২১ জন।

এদিকে ঢাকা শহর ছাড়া এ বিভাগে ৫০, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫, খুলনায় ৯৫, রংপুরে ৭, রাজশাহীতে ১৫, বরিশালে ৩১, সিলেটে ৫ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।

হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮৮ হাজার ৬৬০ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৬ হাজার ৯৬৪ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের ৯৮ ভাগ রোগীই ছাড়পত্র পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।