ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

প্রোটিনে গর্ভবতী নারীদের আগ্রহ কম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
প্রোটিনে গর্ভবতী নারীদের আগ্রহ কম

ঢাকা:  বাংলাদেশে গর্ভধারণের সময়ে প্রসূতি মা ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের মধ্যে প্রোটিন জাতীয় খাদ্যগ্রহণের প্রবণতা খুবই কম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ভেজাল খাদ্য ও কম পুষ্টিসম্পন্ন ফুড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে থাকেন। সঠিক ব্যালেন্স ডায়েট ও সুষম খাদ্যতালিকা অনুসরণ না করায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারী, গর্ভবতী মা ও তার অনাগত সন্তান নানামুখী জটিলতার সম্মূখীন হন।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পুষ্টি আপডেট সামিট-২০১৯’ শীর্ষক আয়োজিত এক সামিটে পুষ্টিবিদরা এসব কথা বলেন।  

ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সিস বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিএল) ও ফ্রান্সভিত্তিক পুষ্টি জাতীয় খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ড্যানোনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই সামিটে ১১২ জন পুষ্টিবিদ অংশ নেন।

সামিটে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, দেশে বেশিরভাগ মা গর্ভধারণের সময়ে ডাবল পুষ্টির প্রয়োজন ভেবেই ভিটামিন জাতীয় বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকে। অথচ গর্ভবতী মা ও সন্তানের কতটুকু মাত্রায় প্রোটিন, মিনারেল, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড গ্রহণ জরুরি এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখান না। এতে তাদের দেহে পুষ্টি ঘাটতি ও নানা জটিলতা দেখা দেয়।

অ্যাপোলো হাসপাতালের ডায়াবেটিস বিভাগের প্রিন্সিপাল ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, গর্ভবতী মা ও ডায়াবেটিস রোগীদের সঠিক মাত্রায় প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা খুব জরুরি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের পরামর্শ ছাড়াই নিজে সুস্থ থাকবেন বা তার অনাগত সন্তান পরিপুষ্ট হবে, এমন চিন্তায় অতিরিক্ত মাত্রায় নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। আর সঠিক মাত্রায় পুষ্টি জাতীয় খাদ্য বা ফুড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ না করায় পরবর্তীতে মা ও শিশু উভয়ই বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হোন।

বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং সোসাইটির তথ্য তুলে ধরে অনুষ্ঠানে পুষ্টিবিদেরা আরও জানান, রাজধানীর বাইরে হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতাল ছাড়া এখন পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে কোনো পুষ্টিবিদ নিয়োগ করা হয়নি।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৩০০ জন পুষ্টিবিদ কাজ করছেন। রোগীর তুলানায় এ সংখ্যা অনেক কম। ফলে অপুষ্টিতে ভোগা অধিকাংশ নারীর মধ্যে সুষম ও পরিপূরক পুষ্টি সম্পর্কে ধারণা ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের আগ্রহও কম।  

সামিটে আইবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার মোদক, ইন্ডিয়ান ড্যানোনের সিনিয়র নিউট্রেশন ম্যানেজার ডা. মাধবী মারাঠী, সহকারী প্রশিক্ষণ ম্যানেজার (ইন্ডিয়ান ড্যানন) সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং ড্যানোন বাংলাদেশর মার্কেটিং হেড আব্দুল্লাহ আল সোয়েবসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
এমএএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।