ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ডাউন সিনড্রোম শিশুদের স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশের সুযোগ দিতে হবে

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
ডাউন সিনড্রোম শিশুদের স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশের সুযোগ দিতে হবে 'অক্টোবর ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস ২০১৯' উপলক্ষে সেমিনার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিকাশের সুযোগ দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল।

রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

'অক্টোবর ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস ২০১৯' উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের সামাজিক মর্যাদা, গ্রহণযোগ্যতা, অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল যৌথভাবে চতুর্থবারের মতো এ কর্মসূচির আয়োজন করে।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সরদার এ রাজ্জাক, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সরদার এ নাঈম, সুইট বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মুনির ও আরটিভির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর প্রোগ্রাম সৈয়দা মুনিরা ইসলাম।

মোহিত কামাল বলেন, প্রত্যেকটা মানুষের পরিচর্যা করতে হবে। ক্রোমোজোমের কারণে আপনার সন্তান এই বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছে। এটা কোনো রোগ নয়, শুধু রোগীর জন্য সেবা করতে হবে তা হতে পারে না। সবার মানসিক পরিচর্যা দরকার, মানসিক স্বাস্থ্য ছাড়া কোনো স্বাস্থ্য হতে পারে না।

তিনি বলেন, আপনার সন্তানের আচরণ অন্যরকম হলেও তার মেধা আছে, কল্পনাশক্তি আছে। ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সন্তানেরা সুযোগ পেলে তাদের ক্রিয়েটিভিটির বিকাশ ঘটাতে পারবে। আমাদের এটি গ্রহণ করতে হবে। অন্য সন্তানের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। তার ভেতরকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে বড় হতে দিতে হবে। তাহলে সে আপনাকে গৌরবদীপ্ত করবে। তার স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ যেন বন্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
‘আপনার সন্তানকে আপনার বুঝতে হবে। অন্যের মতো নয় তার মতো করে তাকে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। '

সরদার রাজ্জাক বলেন, বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাস ডাউন সিনড্রোম সচেতনতার মাস হিসেবে পালিত হয়। ২০১৬ সালে আমরা প্রথম বাংলাদেশে পালন করি। দিন দিন অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের সমাজের পরিচিতি ও সচেতনতার জন্য আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করি।

তিনি বলেন, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম ইতিবাচক বৈষয়িক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী শিশু যেন সামাজিক মর্যাদা ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। এটা কোনো রোগ নয়, তারা স্বাভাবিক মানুষ হবে তা আমাদের সোসাইটিতে বোঝানো দরকার।

মাহবুবুর রহমান মুনির বলেন, ডাউন সিনড্রোম শিশুর বাবা হিসেবে আমার কোনো দুঃখ নেই। প্রতিনিয়ত আমি সন্তানের যত্ন নিচ্ছি। কিন্তু আমাদের অনুপুস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব কে নেবে এ বিষয়টা আমাকে পীড়া দেয় ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।