ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘দেশে ১৩.৬ শতাংশ শিশু মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৯
‘দেশে ১৩.৬ শতাংশ শিশু মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত’

ঢাকা: দেশে ১৩.৬ শতাংশ শিশু ও ১৬.৮ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক মানুষ কোনো না কোনো ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট খাতের পেশাজীবিদের জাতীয় সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ’ (বিএসিএএমএইচ)। 

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমিউ) বি ব্লকে শহীদ ডা. মিলন হলে বিএসিএএমএইচ’র দুই দিনব্যাপী ১২তম বার্ষিক সম্মেলন ও সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমিউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মা-বাবা, চিকিৎসকসহ সবাইকে আরও যত্নবান হতে হবে।

শিশুদেরকে অংশগ্রহণমূলক কাজে উৎসাহিত করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো মা-বাবা যেন তাদের সন্তানদেরকে নিরুসাহিত না করেন। শিশুদের মনের বিকাশ ও পরিশীলিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের প্রতি আরও যত্নবান হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। এ সময় তিনি বিএসেমেমিউ’র পক্ষ থেকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় সবকিছুই করার চেষ্টা হবে বলে আশ্বাস দেন। বয়োসন্ধিঃকালীন কিশোর-কিশোরীদের চিকিৎসা ও কল্যাণের কথা চিন্তা করে বিএসএমএমিউতে ‘চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ’র ওপর এমডি কোর্স চালু করা হয়েছে।

বিএসিএএমএইচ’র সভাপতি ফারুক আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএসএমএমিউ’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ এস আই মল্লিক, বিশিষ্ট লেখক ও চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল, অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এমএমএ সালাউদ্দীন কাউসার, অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোরর্শেদ, ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ডা. সাদিয়া আফরিন, ডা. সিফাত-ই সৈয়দ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বহির্বিশ্বে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত কোর্স ছাড়া এমবিবিএস ডিগ্রি পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও যারা এ ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত তাদের সবার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় দক্ষ চিকিসৎক, দক্ষ জনবল তৈরি ও দরকারি পড়াশোন, প্রশিক্ষণ চালু করা জরুরি।

বক্তারা আরও বলেন, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্য বিষয়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দুটিকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তাহলেই এ ক্ষেত্রে আমরা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এমএএম/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।