ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই তৈরি হচ্ছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
‘৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই তৈরি হচ্ছে’

খুলনা: ‘দুইদশক আগেও দেশে শতকরা ৮০ শতাংশ ওষুধ আমদানি করা হতো। এখন ৯৮ ভাগ ওষুধ দেশেই তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে এখন বিপুল পরিমাণ ওষুধ বিদেশে রপ্তানি করা হয়’।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ‘ন্যাচারাল প্রোডাক্টস ফর হেলদি লিভিং’ (স্বাস্থ্যকর জীবনধারণের জন্য প্রাকৃতিক পণ্য) শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে খুবির ফার্মেসি ডিসিপ্লিন এবং ফাইটোকেমিক্যাল সোসাইটি অব ইউরোপের আয়োজনে সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ সম্মেলন শেষ হয়।

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, দেশে বিভিন্ন রোগব্যাধি নিরাময়ে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই মানুষ বিকল্প হিসেবে ট্রাডিশনাল মেডিসিনের দিকে ঝুঁকছে। এর প্রধান কারণ এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।

তিনি বলেন, সরকার ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে তা যেন মানসম্মত হয়, রোগীদের জন্য নিরাপদ হয় সেজন্য কোয়ালিটি কন্ট্রোল নিশ্চিতে গুরুত্বারোপ করেছে। সরকার রোগ চিকিৎসায় ট্রাডিশনাল মেডিসিনকে অল্টারনেটিভ হিসেবে প্রমোট করতে সবিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এবং সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় একটি বড় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য ট্রাডিশনাল মেডিসিনকে জনপ্রিয় করা এবং এর উন্নয়নে ওষুধ শিল্প ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন।

সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন, যুক্তরাজ্যের জন মুরস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি এবং বায়োমলিকুলার সায়েন্স স্কুলের পরিচালক ও ইউরোপের ফাইটোকেমিক্যাল সোসাইটির (পিএসই) সভাপতি প্রফেসর সত্য সরকার, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি সুভাষ সিংহ রায়। সভাপতিত্ব করেন এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের চিফ প্যাট্রন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। একই সঙ্গে দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীদের সমাবেশ ও তাদের গবেষণালব্ধ আলোচনা, মতবিনিময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ শিক্ষা-গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। তিনি এ সম্মেলন সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং বিশেষভাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ফার্মেসি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জর্ডান, রোমানিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, বাংলাদেশসহ ৭টি দেশের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, বিজ্ঞানী এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, ডিন, রেজিস্ট্রার এবং ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।