ঢাকা: জমি না পাওয়ায় দেশের ৫৮টি জেলার ১ হাজার ১২০টি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রকল্প পরিচালক ডা. মাখদুমা নার্গিস এ কথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জমিসংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ৫৮টি জেলার জেলা প্রশাসকদের চাহিদাপত্র (ডিও) দেওয়া হয়েছে।
জমিদাতার জমি রেজিস্ট্রি করা বা প্রকল্পের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি খরচ বহন করার ব্যাপারে কার্যক্রম চলছে।
জমির ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, জমিদাতার নামে কমিউনিটি ক্লিনিকের নামকরণ করা যায় কি-না সে ব্যপারেও আলোচনা চলছে।
এছাড়াও সরকারি খাস জমিতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের বিষয়ে উদ্যেগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মাখদুমা নার্গিস জানান,১৯৯৮-২০০১ সালে নির্মিত ১০ হাজার ৭২৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে বিদ্যমান আছে ১০ হাজার ৬২৪ টি এবং ৯৯টি নদী গর্ভে বিলীন বা অন্য কারণে ধ্বংস হয়েছে।
এছাড়া ২০১১ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১১ হাজার ২৬২ টি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে এবং এগুলো সেবা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, কমিউিনিটি ক্লিনিক মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদান রাখেছে। তবে এসব স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীকে কোন কোন রোগের সেবা দিতে পারবেন এবং কী কী ওষুধ দিতে পারবেন, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করতে হবে।
কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ কোনও রোগীকে কোথায় রেফার করতে পারবেন জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার পরিবর্তিত হলেও জনগণ কমিউনিটি ক্লিনিক ধরে রাখবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য সচিব ডা. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. খন্দকার মো. শিফায়েত উল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১২