ঢাকা: ২০১৩ সাল থেকেই নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে কলেরা এবং নিউমোনিয়ার টিকা দেওয়া হবে। টিকাদানের আর্ন্তজাতিক সংগঠন, ‘গাভি’ বাংলাদেশকে আগামী বছর থেকে এ দুটি টিকা দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক।
শুক্রবার ২০তম জাতীয় টিকা দিবস উপলক্ষে ইপিআই ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
রুটিন টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে এটি টিকা প্রদান ধীরে ধীরে প্রাণঘাতী রোগ ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়াকে নির্মূল করবে বলে আশা প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নিউমোনিয়া প্রতিরোধে ‘নিমোকক্কাস’ এবং ডায়রিয়া প্রতিরোধে ‘রোটাভিরেস’ টিকার জন্যে ২০১১ সালে গাভি’র কাছে আবেদন করা হয়েছিলো। ২০১৩ সাল থেকেই টিকাগুলো পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খন্দকার মো. শিফায়েতউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতি বছর নিউমোনিয়ায় প্রায় ২৫ হাজার শিশু মারা যায়। গত বছরের শেষ দিকেও রংপুর বিভাগের দিকে নিউমোনিয়া যেভাবে বাড়ছিলো আতঙ্কে ছিলাম। ’
‘এছাড়াও ডায়রিয়াজনিত রোগের ঝুঁকি থেকেও আমাদের শিশুরা এখনো মুক্ত নয়। ’
তিনি আরো বলেন, ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের শিশু মৃত্যুহার আরো কমাতে হবে। এ লক্ষ্যেই আমরা গাভি’র কাছে আবেদন করি। আশা করছি, আগামী বছরই রুটিন টিকাদান কর্মসূচিতে এ দু’টি টিকা সংযুক্ত হবে। ’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং টিকাবিদ ও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ২০১২ সালেই আমরা ‘গাভি’ থেকে হামের টিকা পাবো। ২০১৩ সাল থেকে নিউমোনিয়ার টিকা সরকার কিনে নেবে। আশা করি, ডায়রিয়া’র টিকাটাও কেনা যাবে। ’
বর্তমানে ইপিআই ভবন এবং আরো দু-একটি জায়গায় এ টিকার মজুদ ব্যবস্থা স্থাপনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮, ডিসেম্বর ০৬, ২০১২