ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চীনা টিকার ট্রায়াল নিয়ে জটিলতা অগ্রহণযোগ্য

রেজাউল করিম রাজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
চীনা টিকার ট্রায়াল নিয়ে জটিলতা অগ্রহণযোগ্য ডা. লেলিন চৌধুরী

ঢাকা: সমন্বয়হীনতার কারণে চীনের সিনোভেক কোম্পানির করোনার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (ট্রায়াল) অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) নৈতিক অনুমোদন দিলেও মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলিতে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে।

কবে মাঠপর্যায়ে টিকার ট্রায়াল শুরু হবে, তা সরকার বা গবেষকেরা বলতে পারছেন না।  

চীনা টিকা নিয়ে এমন জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের পরিচালক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, বিএমআরসির অনুমোদনের পর মন্ত্রণালয়ের জটিলতা সৃষ্টি করা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক এবং অগ্রহণযোগ্য।  

বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, চীনের সিনোভেক কোম্পানির তৈরি করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ ভ্যাকসিন নিয়ে বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ‘দি ল্যানসেট’ (The Lancet) পত্রিকায় স্টাডি প্রকাশ করা হয়েছে। যেমন প্রকাশ হয়েছে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের স্টাডি বিষয়ে। চীনের এই করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের বৃহৎ পরিসরে বাংলাদেশে ট্রায়াল করার কথা হচ্ছিল। এই ভ্যাকসিনের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখাশোনা করছে আমাদের দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উদারাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের চীনের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য নৈতিক অনুমোদন দিয়েছে বিএমআরসি। বিএমআরসি হচ্ছে এই বিষয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের মানুষের ভালো মন্দ সবকিছু বিবেচনা করেই তারা নৈতিক অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু কী কারণে এটা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে তা আমাদের অজানা।  

ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হতো। সফল হলে বাংলাদেশ চীনের কোম্পানির কাছে কম দামে অথবা বিনামূল্যে এই টিকা পেতে পারতো। তারাও বলেছিল বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। এর চেয়ে ভালো মানের ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে আমরা সেটিও গ্রহণ করতে পারতাম। চীনের কাছ থেকে এই ভ্যাকসিন নিতেই হবে বিষয়টা এমন নয়। তবে ট্রায়াল করলে সেই সম্ভাবনার জায়গাটা তৈরি হতো। কিন্তু সচিব কেন তা নষ্ট করে দিলেন সেটা বোধগম্য নয়।  

করোনার টিকা উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতা চলছে বিশ্বজুড়ে। এ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছে যুক্তরাজ্য, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। চীনের যে টিকা বাংলাদেশে ট্রায়ালের কথা বলা হচ্ছে, তা দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় সফল হয়েছে। এই টিকা বিশ্বজুডে প্রতিযোগিতার প্রথম সারিতে থাকা তিনটির একটি। টিকার নাম করোনাভেক। চীনের কোম্পানি সিনোভেক এই টিকা উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
আরকেআর/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।