ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মানিকগঞ্জে বেড়েই চলেছে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
মানিকগঞ্জে বেড়েই চলেছে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা

মানিকগঞ্জ: পদ্মা-যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। বন্যার পানি নামতে শুরু করায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, প্রাকৃতিক ও বন্যা জনিত কারণে পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ২৭৭ জন এবং সাপের কামড় ও নৌকাডুবে মোট ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেল্থ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমে দৈনিক প্রতিবেদন মানিকগঞ্জ থেকে পানিবাহিত রোগী ও বন্যা জনিত আঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ডায়রিয়া, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, সাপে কাটা, পানিতে ডোবা রোগী প্রতিনিয়তই আসছে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে। এ হাসপাতালের ডায়ারিয়া ওয়ার্ডে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো এলাকা থেকে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগীরা আসছে। অধিকাংশ রোগীরা চলতি বন্যার পানিতে গোসল কিংবা পানি পান করার পর থেকে পেট ব্যাথা ও ডায়ারিয়া দেখা দেয়। প্রথম দিকে নিজ নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলেও পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে জেলা হাসপাতালগুলোতে পাঠায় চিকিৎসকরা।

সদর উপজেলার পূর্ব দাশড়া এলাকার কবিতা খানম বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঈদের মধ্যে বাবার বাড়ি শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। এক বা দু’দিন শখের বসে বন্যার পানিতে গোসল করেছিলাম তারপর থেকে পেটে ব্যাথা এবং পরে ডায়ারিয়া দেখা দিয়েছে। অবস্থা খারাপ দেখে আমার ছোট ভাই সদর হাসপাতালের ডায়ারিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করে তবে এখন অগের চেয়ে অনেকটাই ভালো বোধ করছি।  

ঘিওর উপজেলার কান্দা কুষ্টিয়া এলাকার আল মামুন বলেন, আমার বাড়ির চারপাশে বন্যার পানি, পানি যদিও টিউবয়েল থেকে খেয়েছি কিন্তু বন্যার পানি টিউবয়েলের কাছাকাছি থাকার কারণে হয়তো আমার ডায়ারিয়া হয়েছে। আমি প্রথমে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই, সময় যতো বাড়ছে অবস্থা ততই খারাপের দিকে যাচ্ছে তখন ওখানকার ডাক্তারা আমাকে মানিকগঞ্জে পাঠায়। গত দুই দিন আগের চেয়ে এখন অনেকটাই ভালো মনে হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ ডায়ারিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইয়াসমিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগী আসছে এবং জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে সরাসরিও ভর্তি হচ্ছে ডায়ারিয়া আক্রান্ত রোগীরা। অনেকে আবার দ্রুত সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।

জেলা সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বাংলানিউজকে বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে পানিবাহিত নানা রোগ দেখা দেয়। এজন্য খাবার পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। এছাড়া আমাদের ৭২টি মেডিক্যাল দল প্রস্তুত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।