ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহার না কমা চিন্তার বিষয়: ড. কে জামান

রেজাউল করিম রাজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০
করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহার না কমা চিন্তার বিষয়: ড. কে জামান ড. কে জামান

ঢাকা: বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিমাণ কম হলেও, মৃত্যুর সংখ্যা না কমা চিন্তার বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পোলিও বিষয়ক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. কে জামান।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বর্তমানে বাংলাদেশের করোনা ভাইরাস এর পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে এ কথা বলেন।

ড. কে জামান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার স্পষ্টতই নিম্নমুখী। মাস দুয়েক আগেও করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল শতকরা ২২ থেকে ২৫ ভাগ। বর্তমানে সেই সংখ্যা শতকরা ১২ থেকে ১৪ ভাগে নেমে এসেছে। মাঝখানের নমুনা পরীক্ষা সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। এখন আবার নমুনা পরীক্ষা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আমার কাছে বর্তমানে চিন্তার বিষয় একটিই মৃত্যুর সংখ্যা কিন্তু কমে নাই।

করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা না কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৃত্যুর সংখ্যা না কমার কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন, বেশিরভাগ আক্রান্ত রোগী গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হাসপাতালে আসেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থ হওয়া ছাড়া রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছে না। আক্রান্ত হওয়ার পর অনেক বেশি জটিলতা তৈরি হলেই কেবল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। ফলে রোগীর অবস্থা মোটামুটি গুরুতর পর্যায়ে চলে যায়। এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না।

সচেতনতা অবলম্বন প্রসঙ্গে এ বিজ্ঞানী বলেন, করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তা না হলে করোনা ভাইরাস এমনই এক ভয়াবহ ভাইরাস যা একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে চলে আসবে।

করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও প্রতি বছর ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্প্যানিশ ফ্লু মহামারিতে সারা বিশ্বের দুই পারসেন্ট অর্থাৎ ৫ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল। স্প্যানিশ ফ্লুতে প্রথম ওয়েবে যতটা মানুষ মারা গিয়েছিল, দ্বিতীয় ওয়েব বেশি ভয়াবহ হয়েছিল এবং দ্বিতীয় ওয়েবে আরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। করোনা ভাইরাসে এমনটা হোক এটা আমরা কেউ আশা করি না। তবে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও দ্বিতীয় ওয়েব বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ শীতে ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হয় এবং ভাইরাস বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে। অতএব আমাদেরকে সেই রকম প্রস্তুতি আগে থেকেই গ্রহণ করতে হবে। কোনো কোনো দেশে আবার কিন্তু দ্বিতীয় ওয়েব শুরু হয়েছে যেমন, ব্রাজিল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কোরিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০
আরকেআর/এমএমএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।