ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

প্রতিটি হাসপাতালেই আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ উন্নত সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
প্রতিটি হাসপাতালেই আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ উন্নত সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে

মেহেরপুর: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনে এমপি বলেছেন, আগামী ৬ মাস বা এক বছরে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে নাও আসতে পারে। তাই আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জুমের মাধ্যমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, জিন এক্সপার্ট মেশিনে কোভিড-১৯ পরীক্ষা কার্যক্রম, কোভিড-১৯ শনাক্তকরনের জন্য স্যাম্পল কালেকশন বুথ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে কোনো পরীক্ষার জন্য মেহেরপুরের মানুষকে বাইরে যেতে হবে না। মেহেরপুরেই সব পরীক্ষা করা যাবে। দেশের প্রতিটি হাসপাতালেই আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও উন্নত সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খানের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যোগ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাক্তার সামিউল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ খালেক, পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার সভানেত্রী শামীম আরা হীরা প্রমুখ।

পরে প্রতিমন্ত্রী চার কোটি টাকা মূল্যের জিন এক্সপার্ট মেশিন এবং অক্সিজেন সরবরাহের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন।

এর আগে, করোনা ও যক্ষা নিয়ে মেহেরপুরের অবস্থান সম্পর্কে সিভিল সার্জন ডাক্তার নাসির উদ্দীন একটি প্রতিবেদন পেশ করেন। প্রতিবেদনে মেহেরপুরে করোনা সন্দেহে চার হাজার ২১২ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ করে কুষ্টিয়া, যশোর ও ঢাকাতে পাঠানো হয়েছিল। এরমধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে, চার হাজার ৬০টি। জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৬০১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫২৪ জন। মারা গেছেন মাত্র ১৫ জন।

এদিকে জেলায় দিন দিন বাড়ছে যক্ষা রোগীর সংখ্যা। ২০১৯ সালে ১৬ হাজার ২১ জনের কফ পরীক্ষা করে যক্ষা আক্রান্ত ধরা পড়ে এক হাজার ৩৮৮ জন। ২০২০ সালের আজ পর্যন্ত ছয় হাজার ৪৯৮ জনের কফ পরীক্ষা করে ধরা পড়ে ৭৬৫ জন।

একই সময়ে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে অনুদানের চেক ও প্রতিবন্ধীদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে ৪৫ জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার এবং ৬৭টি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সমাজ সেবা কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।