ঢাকা: করোনাকালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড পরিচালিত হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, দাতব্য মেডিক্যাল সেন্টার, ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল ক্যাম্প ছাড়াও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিনামূল্যে ১৫ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, দেশের ৬৪টি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ, নারী ও শিশুসহ মোট সাত লাখ ৩২ হাজার ১৩২ জন।
বোর্ড পরিচালিত ছয়টি দাতব্য মেডিক্যাল সেন্টারে পুরুষ, নারী ও শিশুসহ দুই লাখ ২৪ হাজার ৬৪০ জন। ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল ক্যাম্পে অঞ্চলভিত্তিক সেবা গ্রহণ করেছে এক লাখ ১৫ হাজার জন। এছাড়া দেশব্যাপী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের দ্বারা সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীরাও করোনাকালীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছে এবং রোগ প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবন করেছেন। এমনকি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও করোনাকালীন হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবন করে সুস্থতার সঙ্গে জীবনযাপন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, যে সকল মানুষ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছ থেকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের মধ্যে কেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতালে বহির্বিভাগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে প্রায় ৫০ জন কোভিড পজিটিভ নেগেটিভ ফলাফল পেয়েছেন।
দিলীপ কুমার রায় বলেন, আমাদের ৬৪ জেলায় ৬৪টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। সেখানে বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয়। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নাই। তাই আমরা ৬৪ জেলায় একটি করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছি। এছাড়া সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের প্রায় ৪০ জন রেজিস্টার চিকিৎসক রয়েছেন। যারা সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের রেজিস্টার কাম সেক্রেটারি ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, বোর্ডের সদস্য ডা. শেখ মো. ইফতেখার উদ্দিন, ডা. আশিস শংকর নিয়োগী, ডা. কায়েম উদ্দিন, ডা. মো. রাশিদুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২০
পিএস/আরএ