ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শীতের সঙ্গে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
শীতের সঙ্গে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা শিশু ওয়ার্ডের কোনো বেডই এখন খালি নেই

খুলনা: মাঘের শুরু থেকেই কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ঘর থেকে বের হলেই কনকনে বাতাস যেন শরীরে আঁচড় কাটছে।

শীতের সঙ্গে খুলনার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিশুরা।

শীত বাড়ায় খুলনার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশু ও নবজাতক রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে খুলনা শিশু হাসপাতাল ও আদ্-দ্বীন আকিজ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাপ বেড়েছে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল ও খুলনা সদর হাসপাতালেরও একই অবস্থা।

চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বাড়ে। এ কারণে ভাইরাসজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাও বাড়বে। করোনার এ সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুর দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বাসায় সব সময় তাকে কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখতে হবে। শিশু কোনো অবস্থায় যেন ভেজা না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে তারা কিছুটা হলেও সুরক্ষা পাবে।

হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিভিন্ন রোগ। অনেক বাবা-মা সর্দি, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে খুলনা শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকতা আল-আমিন রাকিব বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে শিশু ও নবজাতক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতে কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে তারা আসপাতালে আসছে। শিশু হাসপাতালের ২৬০টি জেনারেল বেডের কোনোটিই এখন খালি নেই।

আদ্-দ্বীন আকিজ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো. হোসেন আলী বাংলানিউজকে বলেন, ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডেও রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘শীত বাড়ায় রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শীতে বাচ্চাদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তাদের যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। এখন নিপাহ ভাইরাসের সময়। এসময় শিশুসহ সবার খেজুরের রস খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত। এছাড়া, পাখির আংশিক খাওয়া ফলও খাওয়া ঠিক নয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
এমআরএম/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।