ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ ডোজ আমাদের কাছে এসেছে। এখানে তিনটি ব্যাচের ডোজ রয়েছে ৫০ লাখ।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে টঙ্গীর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের ওয়্যারহাউজে ভ্যাকসিন নামানো শেষে প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রাইজা একথা বলেন।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন পরীক্ষার পর ওষুধ প্রশাসনের ছাড়পত্র পেলেই ৪৮ ঘণ্টা পর আমরা দেশের সব জেলায় করোনা ভাইরাসের ডোজ সরবরাহ করতে পারবো।
‘বিমানবন্দর থেকে ৯টি ভ্যানে করে ৫০ লাখ ডোজ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন (কোভিশিল্ড) টঙ্গীর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের ওয়্যারহাউজে নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে আমাদের ক্যাপাসিটি বাড়ানো হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে নতুন দু’টি ওয়্যারহাউজ। ওয়্যারহাউজ-১ এর ক্যাপাসিটি হলো ছয় মিলিয়ন ডোজ, ওয়্যারহাউজ-২ এর ক্যাপাসিটি আট মিলিয়ন ডোজ। এছাড়াও আগে থেকেই আমাদের আরও একটি ওয়্যারহাউজ ছিল। সেটিতেও কিছু ডোজ রাখা যাবে। ’
তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিনটি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এছাড়া আমাদের মিনি ফ্রিজার কাভার্ডভ্যানগুলোর মধ্যে তাপমাত্রা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা হয়েছে। প্রতিটি চালান যাওয়ার আগে ও পরে সেগুলো কোয়ালিটি ডিপার্টমেন্ট দিয়ে চেক করা হবে। এখান থেকে ডোজ পাঠানোর পর প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জনের দায়িত্বশীল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, এখানে প্রতিটি কার্টনের মধ্যে ১২ হাজার (ভায়াল) ডোজ রয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা কোনো বক্স ভাঙতে চাচ্ছি না। যেভাবে এসেছে ঠিক সেভাবেই আমরা সরবরাহ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
এসজেএ/এএ