ঢাকা: ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা ভাইরাস নির্মূল করা দুরূহ বিষয় উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জাহিদ মালেক বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা দেশব্যাপী ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু করবো।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ন্যাগলেগটেড ট্রপিক্যাল ডিজিস (এনপিডি) দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে যত নেগলেক্টেদ ট্রপিকাল ডিজিজ আছে, বেশিরভাগ রোগই আমরা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি। পোলিও নির্মূল হয়েছে ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে। কাজেই ভ্যাকসিন আমাদেরকে নিতে হবে। ভ্যাকসিন নিলে সাধারণত কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ আমরা কোনো না কোনো রোগের ভ্যাকসিন নিয়েছি। আমরা যারা ভ্যাকসিন নিয়েছি তারা সবাই ভালো আছি। এই ভ্যাকসিনটি খুবই নিরাপদ। আমরা অনুরোধ করবো শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে যারা মুরুব্বি রয়েছেন তাদেরকেও উপজেলায় এসে ভ্যাকসিন নিতে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংসদ সদস্য, চেয়ারম্যান, মেম্বার যারা রয়েছেন সবাইকে আহ্বান করবো আপনারা আপনাদের এলাকার জনগণকে ভ্যাকসিন সেন্টারে নিয়ে যাবেন এবং তাদেরকে ভ্যাকসিন দেবেন। তাদেরকে ভ্যাকসিন নিতে অনুপ্রাণিত করবেন।
ভ্যাকসিনের নিবন্ধন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আপনারা অ্যাপসে নিবন্ধন করতে পারেন। অ্যাপসের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের জন্য কেউ নিবন্ধন করতে না পারলে ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র থেকে সাহায্য নিতে পারেন। ভ্যাকসিন কেন্দ্রে এলেও সেখানে ফরম পূরণ করে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কাজেই আপনারা এসে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন, নিজে সুস্থ থাকেন, পরিবারকেও সুস্থ রাখেন, দেশকে করোনামুক্ত করেন আমি সবার কাছে এই আহ্বান রাখছি।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি প্রায় ধ্বংসের পথে। পৃথিবীতে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় আমরা সফল হয়েছি। তুলনামূলকভাবে আমাদের দেশে মৃত্যু হার অনেক কম। বর্তমানে সংক্রমণের হারও অনেক কম। সংক্রমণের হার ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। আমরা করোনাকে নির্মূল করতে চাই।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সেনাল এবং স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
আরকেআর/এএটি