ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা টিকা কমে গেছে বা নেই এটা কোনো সমস্যা না। টিকা যেখানে যতটুকু দেওয়া দরকার দেওয়া আছে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও মুজিব কর্নারের উদ্বোধন এবং অডিটোরিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিকে আরও ২০ লাখ থেকে ২৫ লাখ ডোজ করোনা টিকা পাবো।
করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার তিন মাস পরে আবার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হবে। যত দেরিতে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেবেন তত বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। একই সঙ্গে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়বে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডাব্লিউএইচও এর নির্দেশনায় বলা হচ্ছে আট সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার কথা। এর ফলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ বেড়ে যায়। এ কারণেই করোনার দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
ভ্যাকসিন নিবন্ধনের জটিলতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রথমে যখন ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলো তখন নিবন্ধনের সংখ্যা খুব কম ছিল। তখন যারা ভ্যাকসিন নিতে আসেছিলেন তাদের সংখ্যাও কম ছিল। করোনা টিকা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ছিল। বিভ্রান্তি কেটে যাওয়ায় নিবন্ধনের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২৩ থেকে ২৫ লাখ মানুষ করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এরই মধ্যে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরের একটি ধারণ ক্ষমতা আছে। যেখানে প্রতিদিন টিকার জন্য এক হাজার লোক নিবন্ধন করেছেন। এখন তা বেড়ে প্রতিদিন তিন হাজার লোক নিবন্ধন করছেন। এজন্য নিবন্ধন করতে একটু তো দেরি হবেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
এমএমআই/আরআইএস