ঢাকা: দেশে ক্রমাগত করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ১৪ তলায় ৪৮টি কেবিনের মধ্যে প্রথম ধাপে ২১টিতে করোনা রোগী ভর্তি নেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাতে এ বিষয়ে কথা হয় ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ডা. হোসাইন ইমাম ইমুর সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা গত ২২ মার্চ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রজ্ঞাপন পেয়েছি। এই বিষয়ে আমাদের প্রিমিয়ালি আলোচনা হয়েছে। বুধবার (২৪ মার্চ) ইনস্টিটিউটের পরিচালক স্যারের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসবো।
ডা. হোসাইন ইমাম ইমুর আরও বলেন, আমাদের ইনস্টিটিউটের ১৪ তলায় ৪৮টি কেবিন আছে। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেখানে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বেড খালি নেই, করোনা রোগীদের ভর্তি বন্ধ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ইনস্টিটিউট ৫০০ শয্যা। এখানে বর্তমানে রোগী ভর্তি আছে সাড়ে ৪০০ মতো। প্রতিদিন আউটডোরে ২৫০শ’ রোগী দেখা হয়। তাছাড়া ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এখনো দগ্ধ রোগীদের পুরোপুরি চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করা হয়নি। সারা বাংলাদেশের দগ্ধ রোগীরা আমাদের ইনস্টিটিউটের চিকিৎসা নেন।
তবে তিনি জানান, যেহেতু সরকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিতে। আমরা দ্রুত সেটার ব্যবস্থা করবো বলে আশা রাখি।
এদিকে ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবিন খালি করা হচ্ছে। তবে ঢামেক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কোভিড রোগীরা ভর্তি হবেন। ঢামেকের মেডিসিনের চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দেবে।
ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ইনস্টিটিউটের ১৪ তলায় কেবিন ব্লকে করোনা আক্রান্ত ঢামেকের চিকিৎসকদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষ দ্রুত কেবিন ব্লক আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে এবং সব রকম ওষুধপত্র আমাদের এখান থেকেই যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
এজেডএস/এসআরএস