ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফেনীতে নিবন্ধন করেও টিকা নেয়নি ১১ হাজার মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
ফেনীতে নিবন্ধন করেও টিকা নেয়নি ১১ হাজার মানুষ

ফেনী: ফেনীতে করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক নিতে নিবন্ধন করেও প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে আসেননি। নিবন্ধন করেও টিকা না নেওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ বিব্রতবোধ করছে।

এ তথ্য জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এসএসআর মাসুদ রানা।

তিনি জানান, টিকা পেতে এ পর্যন্ত ফেনীতে নিবন্ধন করেছেন ৫৯ হাজার ৮শ ১০ জন। টিকা নিয়েছেন ৪৮ হাজার ৯শ ১ জন। নিবন্ধন করেও টিকা নিতে বুথে আসেননি ১০ হাজার ৯শ ৯ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, মোট টিকা গ্রহীতার মধ্যে ৩০ হাজার ৭শ ২০ জন পুরুষ এবং ১৮ হাজার ১শ ৮১ জন নারী। টিকা গ্রহীতা ২৬ জনের মধ্যে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিলো। নিবন্ধনকৃত ব্যক্তিদের তাগাদা দিতে ইতোমধ্যে একাধিক সভা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।  

ডা. মাসুদ রানা জানান, করোনা ভ্যাকসিন কমিটি, করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও জেলা সমন্বয় সভাতেও বিভিন্নভাবে টিকা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।  স্বাস্থ্য বিভাগের তৃণমূল অর্থাৎ কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধনকৃত ব্যক্তিদের দ্রুত টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত বয়সের এখনো যারা নিবন্ধন করেনি তাদের তাগাদা দিতে বলা হয়েছে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালে টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেও টিকা নেননি শামীমা আক্তার নামে একজন সমাজকর্মী।

তিনি জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি বুথে গিয়ে টিকা নেওয়ার কথা থাকলেও পরিবারের অন্য কেউ নিবন্ধন না করায় আর যাওয়া হয়নি।

করোনায় সামনের সারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের পক্ষ হতে টিকা গ্রহণের কথা বলা হয়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এমন অনেকেই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও টিকা গ্রহণ করেননি।

নিবন্ধন করেও টিকা না নেওয়া প্রসঙ্গে ফেনীতে কর্মরত এক গণমাধ্যমকর্মী জানান, কিছুটা অলসতা কিছুটা ভয় মিলে টিকা নেওয়া হয়নি। তবে, শিগগিরই নেবেন বলে তিনি জানান।

ডা. মাসুদ রানা জানান, টিকা না নেওয়া এবং যারা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হননি তাদের সম্পৃক্তে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গ আলোচনা করেছি। প্রয়োজনে বিভিন্ন বাজার কমিটির সভাপতি-সম্পাদককে যুক্ত করার জন্য বলেছি। এছাড়াও জেলার সভায় প্রচার-প্রচারণা বাড়তে জেলা তথ্য অফিসকে বলা হয়েছে এবং পৌরসভাকেও প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানাচ্ছে, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই মাসের প্রথম দিন হতে সুরক্ষা অ্যাপ'র মাধ্যমে নিবন্ধন শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, টিকা কার্যক্রমের শুরুতে জেলায় মোট ১৯টি বুথ স্থাপন করা হয়েছিলো। এরমধ্যে ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আটটি, পাঁচটি উপজেলায় দুইটি করে ১০টি ও ফেনী পুলিশ লাইনে একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছিলো। টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ৩৫ জন চিকিৎসক, ৬ জন করে ২৪টি দলে মোট ১শ ৪৪ জন টিকাদানকারী নিয়োজিত করা হয়েছিলো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।