ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৯২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
টানা দুই সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের বেশি। যেটা গত ৭ এপ্রিল ছিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন। এটাই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে অধিকাংশি দিন শনাক্ত ছিল ৬ থেকে ৭ হাজারের উপরে। ১৫ এপ্রিল এটা আবার ৪ হাজারে নামলো। এর আগে গত ২৮ মার্চ ছিল ৩৯শ ৮।
অপরদিকে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। সংখ্যাটি প্রায় একশো ছুঁই ছুঁই। গত ৯ দিন মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ এর বেশি ছিল। যেটা ১৪ এপ্রিল গিয়ে ঠেকে ৯৬ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯১৫ জন।
এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার ২১৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৫৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে।
এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২১টি, জিন এক্সপার্ট ৩৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ১০২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৭৭০টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৯৫৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭২টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪৩ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৯৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে ছয়জন, খুলনা বিভাগে তিনজন, বরিশাল বিভাগে দু’জন। এছাড়া সিলেট ও রংপুর বিভাগে একজন করে দু’জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ৯০ জন, বাড়িতে চারজন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৫২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৫৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৪৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ১৪ হাজার ৮২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৬ হাজার ৭১৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৩৬৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
পিএস/এএ