ঢাকা: ‘করোনার সংক্রমণ রোধে বিদেশ থেকে আগতদের ক্ষেত্রে ১৪ দিনের কম কোয়ারেন্টিন আসলে কোনো কোয়ারেন্টিনই নয়। কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একার দায়িত্ব না।
রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন অবশ্যই ১৪ দিন হতে হবে। স্থান সংকুলান না হলে প্রয়োজনে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন হলেও তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট চলে এসেছে। এটি অত্যন্ত মারাত্মক। এই ভ্যারিয়েন্টের চারদিকে সংক্রমণ করার ৩শ গুণ ক্ষমতা রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে অসম্ভব রকমের করোনার সংক্রমণ ঘটছে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ভারতে যে দুটো ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে- ডাবল বা ত্রিপল মিউটেশন ভাইরাস, তা সারাবিশ্বে বিস্ময় হিসেবে দেখা দিয়েছে। ভারতের এই ডাবল কিংবা ত্রিপল মিউটেশন ভাইরাস যেন কোনোভাবেই দেশে আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমরা করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ অতিক্রম করছি। আগামী ২৮ এপ্রিল সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন শেষ হবে।
ইতোমধ্যে ২৫ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান এ সময়ে জনগণের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। দীর্ঘস্থায়ী লকডাউন পরিপূর্ণ সমাধান নয় এবং এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
রোবেদ আমিন বলেন, জনগণকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মুখে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং নির্দিষ্ট নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর হয়ে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
পিএস/এএটি