ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৪৮০ জনের।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৯১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৭ জন।
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৯টি, জিন এক্সপার্ট ৪২টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩২৬টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা করা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৭১০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯১৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৮টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন রয়েছেন। এছাড়া বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ২ জন করে ৪ জন রয়েছেন।
এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৮ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪২৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৩০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ২২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ২২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৩৮৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২১
পিএস/আরবি