খুলনা: খুলনায় করোনা ভাইরাসের দাপট আবারো ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে।
মৃতরা হলেন- শরণখোলার আব্দুল হাই শিকদার (৮০), যশোরের কাজী সাইদুর রহমান (৭৪), কয়রার আয়জান বেগম (৭৫), ফুলতলার আব্দুল মালেক (৭৫) ও তুষার কান্তি (৫৮) এবং মোড়েলগঞ্জের সেলিম জমাদ্দার (৬৫)। এ নিয়ে খুলনার করোনা হাসপাতালে ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনার করোনা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাটের শরণখোলার বানিয়াখালী এলাকার আব্দুল হাই শিকদার মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সোমবার (৭ জুন) করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
একই সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর সদরের বাসিন্দা কাজী সাইদুর রহমান মারা যান। তিনি সোমবার খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন।
এদিন বিকেল পৌনে ৩টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের কেয়ারবাজার এলাকার বাসিন্দা সেলিম জমাদ্দার মারা যান। তিনি ৫ জুন করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন।
এছাড়া দুপুর পৌনে ১টার দিকে খুলনার ফুলতলা উপজেলার বানিয়া পুকুর এলাকার বাসিন্দা তুষার কান্তি মারা যান। তিনি ৪ জুন খুলনার করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন।
একই সময়ে করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়জান বেগম নামে আরেক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি খুলনার কয়রা উপজেলার ষোলহালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী। ৬ জুন তিনি করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৭টায় করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মালেক নামে আরেক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি খুলনার ফুলতলা উপজেলার বাসিন্দা। ৫ জুন তিনি খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, মঙ্গলবার রাতে পিসিআর মেশিনে ২৭৯ নমুনায় ৮১ জনের পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ১৯৩ নমুনায় ৩৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাটের ২৬ জন, যশোরের দু’জন, পিরোজপুরের দু’জন, গোপালগঞ্জের একজন ও ঝিনাইদহের একজন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২১
এমআরএম/আরবি