ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অযত্নে অকেজো হচ্ছে পুরনো অ্যাম্বুলেন্সটি    

বদরুল আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
অযত্নে অকেজো হচ্ছে পুরনো অ্যাম্বুলেন্সটি
 

 

হবিগঞ্জ: অনেকদিন অব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সটির গায়ে মরিচা ধরে গেছে। কতদিন ধরে এবং কেন ব্যবহার হচ্ছে না, তাও অজানা কর্তৃপক্ষের।

এভাবেই প্রায় অকেজো হয়ে গেল লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি অ্যাম্বুলেন্স।
 
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় তিন বছর আগে অ্যাম্বুলেন্সটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর আর ব্যবহার হয়নি। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি এখন অকেজো হয়ে গেছে। মেরামতের অভাবে সরকারি এ সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক।  

সরেজমিন দেখা গেছে, মরিচা ধরে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা ‘ইহা জাতীয় সম্পদ’। অথচ মেরামতের অভাবে জাতীয় এ সম্পদের (গাড়ির) চাকাগুলো মাটিতে দেবে গেছে। ভেতরে থাকা অনেক যন্ত্রাংশও এখন নেই। গ্লাসগুলো খুলে নিয়ে গেছে কে বা কারা।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেড় লাখ জনসংখ্যার লাখাই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স দেয়। এরপর থেকে পুরনো অ্যাম্বুলেন্সটি আর ব্যবহার হয়নি। এতদিন এভাবে পড়ে থেকে এটি প্রায় পুরোপুরিভাবে অকেজো হয়ে গেছে।
 
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিনে প্রায় সাড়ে তিনশ’ মানুষ সেবা নিতে আসেন। ভর্তি হন প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন। তাদের মধ্যে অনেককেই উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা অথবা বিভাগীয় হাসপাতালে পাঠাতে হয়। কিন্তু প্রতিদিন একজন রোগী অ্যাম্বুলেন্স সেবা পান। বাকিদের যেতে হয় গাড়ি ভাড়া করে।
 
হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আসা কয়েকজন বাংলানিউজকে বলেন, হাওরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই স্বল্প আয়ের। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স একজন রোগী নিয়ে অন্যত্র চলে গেলে বাকি রোগীদের বিপাকে পড়তে হয়। লাখাই থেকে সিলেটে যাওয়ার জন্য বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া দিতে হয় কমপক্ষে চার হাজার টাকা। টাকার অভাবে রোগীদের বিপাকে পড়তে হয়। এ অবস্থায় সরকারি একটি অ্যাম্বুলেন্স অব্যবহৃত থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। দ্রুত এ অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামতের উদ্যোগ নিতে তারা কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
 
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. বায়েজিদ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, কবে থেকে এবং কেন অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার হচ্ছে না, তা নির্দিষ্টভাবে বলতে পারব না। তবে আরেকটি সচল অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে থাকায় পুরনোটি আর প্রয়োজন পড়ে না।  

পুরনো অ্যাম্বুলেন্সটির মেরামতের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি পরে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।