ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৪৬৬ জনের।
গত ৪৮ দিনের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে গত ২ মে করোনায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়ে ছিল।
শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮০ হাজার ১৪৬ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৯৪৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৩ লাখ পাঁচ হাজার ৫০৩টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ০২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, খুলনা বিভাগে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগে ৮ জন এবং ময়মনসিংহের একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৫৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৭ জন এবং বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে তিনজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ২৩৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৬৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৫৬ হাজার ১৪০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৭১৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩০ হাজার ৪২৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
আরকেআর/আরআইএস/