যশোর: যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪৫ জনের নমুনা পরিক্ষা করে ৩০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে ২ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও ২ জন মারা গেছেন।
সোমবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিন শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ।
যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের করোনা রেড ও ইয়েলো জোনে ৯৯ শয্যার বিপরীতে ১২২ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটে (রেড) ৮৭ জন ও ১৯ শয্যার আইসোলেশন (ইয়েলো) ওয়ার্ডে ৩৫ জন ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে কোনো শয্যা খালি নেই। তিন শয্যার আইসিইউ ইউনিটও রোগীতে পূর্ণ।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি করতে হচ্ছে। রোগীর চাপ সামাল দিতে আরও ৫০ শয্যার দুটি করোনা ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ শয্যার একটি ওয়ার্ডের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সেখানে সংকটাপন্ন রোগীদের স্থানান্তর করা হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও অবকাঠামোগত সুবিধা নিয়ে এ হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৯ জুন মধ্যরাত থেকে জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। ১৬ জুন মধ্যরাতে এই বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার থাকলেও সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, যশোরে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল দিনে দিনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনা পরিস্থিতি। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃতের মিছিলও। শনাক্তের এ উর্ধ্বগতি রুখতে কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকরে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও কঠোর বিধিনিষেধের নামে যশোরে চলছে জনগণ ও প্রশাসনের লুকোচুরি খেলা। যশোর পৌর এলাকা ও আশপাশের চারটি ইউনিয়নে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে যশোরের মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ নয়, কার্ডকর লকডাউনের দাবি উঠছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২১
ইউজি/কেএআর