ঢাকা: আমাদের ১৬-১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশে লাখো মানুষ আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্ট হয়ে যাবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক লকডাউন সুন্দরভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার (২৭ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলো অলরেডি অকুপাইড হয়ে গেছে, মানে রোগী ফিলাপ হয়ে গেছে। কাজেই আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমরা যদি করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে আমাদের ক্যাপাসিটি কিন্তু ডাউন হয়ে যেতে পারে। বিদেশে যারা কর্মী যায় সে জায়গাটা ব্যাহত হবে। ভিসা পেতে কষ্ট হবে, ভিসা দিতে চাইবে না। কাজেই সব দিকে লক্ষ্য রেখে জীবন রক্ষা করতে হবে। দেশে যদি করোনার নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারি তাহলে অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে।
‘সেজন্য আমি আহ্বান করবো, সামনে যে লকডাউন- সেখানে পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এবার থাকবে যাতে লকডাউনটা সুন্দরভাবে পালিত হয় এবং ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণটা রোধ হয়। মৃত্যুর সংখ্যাও যাতে অনেক কমিয়ে আনতে পারি। ’
করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে আগামী ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আর ২৮ জুন থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হলে যানবাহন পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে।
সামনে সংকট কতটুকু দেখছেন- প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংকটটা এড়ানোর জন্যই তো লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এখনও চিকিৎসা দেওয়ার যথেষ্ট লোক আছে। সারাদেশে প্রায় ১২-১৫ হাজার বেড করোনার জন্য ডেডিকেটেড করা আছে। আমাদের এখনও যথেষ্ট বেড আছে। আমাদের হাইফ্লো ন্যাজাল লাগানো বেড আছে সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রায় ১৬শ। অক্সিজেন আছে, ওষুধের কোনা ঘাটতি নেই। সেদিক থেকে আমরা মনে করি যে একটা সহনীয় পর্যায়ে আছি। আমাদের এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের লোকসংখ্যা প্রায় ১৬-১৬ কোটি। আমাদের যদি লাখো মানুষ আক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে তো কষ্ট হবে। চিকিৎসা দেওয়াটা দুরূহ হয়ে যাবে। সেজন্য আমাদের লকডাউন দিয়ে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভারতকে আপনারা দেখছেন একটা বিরাট সংকটে পড়েছিল। তারা বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। আমরাও আশা করি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২১
এমআইএইচ/এএ