ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

১২ হাজার যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে এইচআইভিতে আক্রান্ত ১২ জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২১
১২ হাজার যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে এইচআইভিতে আক্রান্ত ১২ জন

ঢাকা: দেশে চিকিৎসাধীন ১২ হাজার যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে এইচআইভি/এইডস রোগে আক্রান্ত পাওয়া গেছে ১২ জন। অর্থাৎ প্রতি হাজারে ১ জন করে রোগী পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ।

সোমবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় ভার্চ্যুয়াল সভায় দেশে যক্ষা রোগীদের ভিতরে এইচআইভি সংক্রমণের হার নির্ণয় জরিপ ২০১৯-২০ এর ফল উপস্থাপন করেন নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ।

এই গবেষণা জরিপটি গত বছর জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে করা হয়েছে। ১২ হাজারের অধিক রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, এইচআইভিতে আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ ৬৫ শতাংশ, নারী ৪৩.০৮ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের যক্ষা রোগীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।

৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ হার ০.২ শতাংশ। ফুসফুসীয় যক্ষা রোগীদের মধ্যে ০.১ শতাংশ। অফুসফুসীয় যক্ষা রোগীদের মধ্যে ০.০৭ শতাংশ। পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণ হার ০.৫ শতাংশ। দিনমজুরদের মধ্যে ০.৩ শতাংশ । চারজন গৃহিনী যারা যক্ষায় আক্রান্ত তাদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, দেশে ৩৫ লাখের অধিক যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। গত বছরই ৩ লাখ নতুন করে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ বলেন, যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে কী পরিমাণ এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে এটা জানা যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রাথমিক শিক্ষা কম এমন রোগীরা বেশি সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

নিপসম পরিচালক বলেন, যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী বেশি হলে যক্ষ্মা চিকিৎসায় ব্যাঘাত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, শিক্ষার সঙ্গে সচেতনতার বিষয় আছে। রোগ হলে সারানো যায় কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি। তাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যে চারজন গৃহিনী আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পার্টনাদের টেস্ট করা প্রয়োজন ছিল।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।  এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক রোগী মারা যান ২০০০ সালে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২১
পিএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।