খুলনা: খুলনায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। এতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিট চালু করা হচ্ছে শনিবার (৩ জুলাই)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত ২৯ জুনের এক পত্রের আলোকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশের আলোকে বুধবার (৩০ জুন) সকালে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে সব বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাসপাতালের উত্তর পাশের জরুরি বিভাগ সংলগ্ন প্লাস্টিক অ্যান্ড বার্ন ইউনিটের ২০টি এবং ফিজিক্যাল মেডিসিনি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে ১৫টি বেড স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়। ওই ৩৫টি বেড ছাড়াও চতুর্থ তলার আইসিইউ বিভাগের ১০টি বেডও করোনার রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়। আইসিইউর ১০টিসহ মোট ৪৫টি বেডে রোগী ভর্তি করা হবে। নিচ তলা থেকে রোগীদের চতুর্থ তলার আইসিইউতে নেওয়ার জন্যও ব্যবহার করা হবে পৃথক লিফট।
শুক্রবার (২ জুলাই) সকালে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে করোনা রোগী ভর্তির মধ্য দিয়ে আবু নাসের হাসপাতালে করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু হবে। করোনা ইউনিটে ৩৫টি জেনারেল ও ১০টি আইসিইউ বেডে করোনা পজিটিভ রোগীরা ভর্তি হতে পারবেন। বাই রোটেশন ৩টি সিফটে রোগীদের সেবা দেওয়া হবে। প্রতি সিফটে দু’জন করে চিকিৎসক ও ১০ জন নার্স দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, খুলনা মেডিক্যালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১৩০ বেড, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ৭০ বেড, বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল হাসপাতালে ১২০ বেড ও শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ৪৫ বেড মিলিয়ে ৩৬৫ বেডে করোনা রোগীরা সেবা নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২১
এমআরএম/আরআইএস