ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রাজশাহীতে আবারও শুরু র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২১
রাজশাহীতে আবারও শুরু র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট রাজশাহীতে আবারও শুরু র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট

রাজশাহী: রাজশাহীতে চারদিন পর আবারও করোনার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। কিট সংকটের কারণে এই ক’দিন মহানগর এলাকায় র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বন্ধ ছিল।

সোমবার (৫ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট ও লক্ষ্মীপুর মিন্টু চত্বরসহ আটটি জনবহুল স্পটে আবারও এই টেস্ট শুরু হয়।  

তবে গত চারদিন মহানগর এলাকায় র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বন্ধ থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে চালু ছিল।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে করোনার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে লম্বা লাইন লক্ষ্য করা গেছে। কম সময়ে ফলাফল জানা এবং বিনামূল্যে করোনা টেস্ট করাতে পারায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এই টেস্টে আগ্রহ বেড়েছে। গত চার দিন এই টেস্ট বন্ধ থাকায় ভুক্তভোগীদের পিসিআর টেস্টের জন্য বেগ পেতে হয়েছে।  

রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, কিট ছিল না। এ জন্য ১ জুলাই থেকে মহানগর এলাকায় র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ের জন্য সিভিল সার্জন অফিসে মজুদ রাখা কিট থেকে চার হাজার কিট সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই কিট দিয়ে আপাতত র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করা হয়েছে। এরই মধ্যে কিট এসে পৌঁছালে আর সংকট তৈরি হবে না। কারণ প্রয়োজনীয় কিটের চাহিদাপত্র দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাই শিগগিরই কিট পাওয়া যাবে।

বেশি সংখ্যক মানুষকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনতে রাজশাহী মহানগরীতে গত ৬ জুন থেকে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়। প্রথমে পাঁচটি স্পটে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়।

পরে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট ও হাসপাতাল সংলগ্ন লক্ষ্মীপুর মিন্টু চত্বরসহ শহরে আরও আটটি স্পট বাড়ানো হয়। জনবহুল মোট ১৩টি স্পটে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছিলো। কার্যক্রম চলা অবস্থায় ১৩টি স্পটে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হতো। সংক্রমণের গড় হার ছিল পরীক্ষার তুলনায় ১২ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে।

প্রথমদিকে এই টেস্ট করাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ খুবই কম ছিল। পরে এক সপ্তাহের মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্টে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। মাত্র দশ মিনিটেই ফল জানতে পারায় পথচারী ও পেশাজীবীদের মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্টে নিয়ে বেশি আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া যারা করোনা পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হয়েছেন কী না জানতে চান তারাও এই টেস্টে সমান আগ্রহী। তবে কিট না পাওয়ায় মহানগর এলাকায় ১৩টি থেকে কমিয়ে সোমবার আটটি স্পটে টেস্ট করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২১
এসএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।