ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সমন্বিত আঞ্চলিক করোনা প্রতিরোধ টিম দরকার: ডা. নজরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২১ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২১
সমন্বিত আঞ্চলিক করোনা প্রতিরোধ টিম দরকার: ডা. নজরুল ডা. নজরুল ইসলাম

ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শহর এবং গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবার সমন্বয়ে করোনা প্রতিরোধ টিম গঠন করা দরকার বলে জানিয়েছেন করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য বাংলানিউজকে এ কথা জানান।

বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় কী? জানতে চাইলে ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, লকডাউন উপলক্ষে যেসব কার্যক্রম চলমান রয়েছে এগুলোর পাশাপাশি আমাদেরকে মাস্ক পরার ওপরে বেশি জোর দিতে হবে। শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে গ্রামে এবং শহরে প্রতিটা পাড়ায় করোনা টেস্ট করতে হবে।  

দেশের শীর্ষ স্থানীয় এ ভাইরোলজিস্ট বলেন, যারা করোনা পজিটিভ হয়েছেন তাদেরকে কী করা হলো? তাদেরকে কি ছেড়ে রাখা হলো না আইসোলেশনে নেওয়া হলো এই বিষয়ে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। যারা করোনা পজিটিভ হয়েছেন তাদেরকে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। শনাক্ত রোগীর পরিবারকে ৩ সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টিনে করতে হবে। কোয়ারেন্টিনকালীন সেই পরিবারের জন্য স্থানীয়ভাবে খাবার-চিকিৎসা ওষুধসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিতে হবে। সরকার কোনো সহযোগিতা করুক বা না করুক স্থানীয় পাড়া-প্রতিবেশী এবং স্থানীয় কমিটি এ গুলোর ব্যবস্থা করবে। স্থানীয়ভাবে করোনা প্রতিরোধে কমিটি করলে সরকারের সুবিধা হচ্ছে, এই কমিটির মাধ্যমে সরকার যাবতীয় সাহায্য এবং প্রণোদনা দিতে পারবে। যারা করোনার কারণে কাজকর্ম করতে পারছেন না এই কমিটির মাধ্যমে সরাসরি তাদের হাতে সরকারের সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এতে সরকারের সাহায্য সহযোগিতা কেউ তসরুফ করতে পারবে না। এর ফলে প্রকৃতভাবে যাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, সেই পরিবারগুলো সহযোগিতা পাবে।

তিনি বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারকে কোয়ারেন্টিন করতে না পারলে ভাইরাসটি সমাজের মধ্যে থেকেই যাবে। করোনা ভাইরাসকে একেবারে সমূলে নির্মূল করতে হবে। কোনো পরিবারের কারোর মধ্যে যেন এই ভাইরাস আর না থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।  

স্থানীয় করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এলাকাভিত্তিক এসব কমিটিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। পাশাপাশি স্থানীয় অনান্য লোকজনও থাকবেন। সবার সম্পৃক্ততা এবং সমন্নয়ের মাধ্যমে এই কমিটির কাজ করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২১
আরকেআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।