সিলেট: করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কোরবানির সব কার্যক্রম চালাতে নির্দেশনা সরকারের। মাস্ক পরিধান করে বেরুতে হবে বাড়ির বাইরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে আক্রান্ত কিছুটা হ্রাস পেলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে। মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে আরো ১১ জনের নাম। এ নিয়ে বিভাগে মৃতের বেড়ে দাঁড়ালো ৫৮৯ জনে।
নতুন করে মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে সিলেট জেলার ৬ জন, মৌলভীবাজারের ৩ জন এবং একজন করে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ৩৩৯ জনের মধ্যে ১৮০ জনই সিলেট জেলার, সুনামগঞ্জের ৫৪ জন, হবিগঞ্জের ৪০ জন, মৌলভীবাজারের ২৬ জন এবং ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৯ জন রয়েছেন।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত বছরের মার্চ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৮৬০ জন করোনা আক্রান্ত হন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৯ হাজার ৯৫ জন, সুনামগঞ্জের ৩ হাজার ৭৩৯ জন, হবিগঞ্জে ৩ হাজার ৮৬১ জন, মৌলভীবাজারে ৪ হাজার ৪৩৫ জন এবং ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ হাজার ৮০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পক্ষান্তরে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ২৭ হাজার ৪৪ জন। তন্মধ্যে সিলেট জেলায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯২০ জন, সুনামগঞ্জে ৪৪৭ জন, হবিগঞ্জে ৩৯৮ জন, মৌলভীবাজারে ৩ হাজার ১১৯ জন এবং ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১১৯ জন।
গত বছরের এপ্রিলের করোনায় দেশের প্রথম মৃত্যু হয় সিলেটের ডা. মঈন উদ্দিনের। সেই থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে মৃত্যুর মিছিলে ৫৮৯ জনের নাম যোগ হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলারই ৪৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়, সুনামগঞ্জের ৪৩ জন, হবিগঞ্জের ২৭ জন, মৌলভীবাজারের ৪৭ জন এবং ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন মারা যান। করোনায় মৃত্যুর এই মিছিল কবে, কখন থামেবে, তা কারো জানা নেই।
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো ৩৫৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তন্মধ্যে সিলেটে ২৩৮ জন, সুনামগঞ্জে ৪৮, হবিগঞ্জে ৪৩ ও মৌলভীবাজারে ২৯ জন।
সিলেটে করোনার বিশেষায়িত শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সৈয়দ নাফি মাহদি বাংলানিউজকে বলেন, ১০০ শয্যার হাসপাতালে ৯৭ জন চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে ৭৬ জনের করোনা পজিটিভ, উপসর্গ নিয়ে ২১ জন এবং আইসিইউ’র ১৬টি শয্যাই রোগীতে পরিপূর্ণ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে থাকা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২১
এনইউ/কেএআর