ঢাকা: বর্তমানে প্রায় ৩৩ লাখ নবজাতকসহ ১৮ বছরের নিচে প্রায় ৬৭ লাখ শিশু এবং প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত। এসব শিশুদের চিকিৎসা সেবা ও সার্জারির মাধ্যমে জন্মগত হৃদরোগ থেকে মৃত্যুহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে।
এই জন্য ৭২ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শিশু কার্ডিওলজি ও শিশু কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিট স্থাপন’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ পর্যায়ে নবজাতকসহ জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসাসেবা ও সার্জারি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলা হবে।
প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বুধবার (২৮ জুলাই) শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি একনেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের যুগ্ম প্রধান (স্বাস্থ্য উইং) মো. আবু ইউসুফ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। বর্তমানে শিশুদের হৃদরোগ বাড়ছে। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা বাংলাদেশে তেমন অগ্রগতি হয়নি। শিশুদের হৃদরোগ চিকিৎসার উন্নয়নে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রকল্পের মাধ্যমে নবজাতকসহ জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা সেবা ও সার্জারি বিষয়ে প্রতি বছর প্রায় ২০ জন চিকিৎসককে উচ্চতর শিক্ষার (এমডি, এফসিপিএস, এমএস কোর্স) সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। গ্রামীণ জনগণের দোরগড়ায় শিশু হৃদরোগের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা এবং দেশে শিশু হৃদরোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার উপর আশ্বাস ও বিশ্বাস দৃঢ়করণের মাধ্যমে দেশের বাহিরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গমনে নিরুৎসাহিত করা এবং কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা হবে।
জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে অনাবাসিক ভবন (এফ ব্লকের ৮ম ও ৯ম তলা উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হবে। এর আয়তন হবে ৩ হাজার ৪৩৮ মিটার। চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি কেনা হবে ৫৯১টি, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কেনা হবে ৫২৮টি। এছাড়া কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী কেনা হবে ৬৪টি, ১ হাজার ১৩১টি আসবাবপত্র এবং অটোমেশন সফটওয়্যার কেনা হবে ১টি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২১
এমআইএস/কেএআর