ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা রোগীদের জন্য বুয়েটের ‘অক্সিজেট’ অনুমোদন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
করোনা রোগীদের জন্য বুয়েটের ‘অক্সিজেট’ অনুমোদন ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বুযেটের তৈরি করোনা রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে এবং উচ্চগতির ভেনটিলেশনের জন্য অক্সিজেট নামক স্বল্প মূল্যের সিপ্যাপ ভেন্টিলেটর ডিভাইস সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৮ জুলাই) রাতে যন্ত্রটি তৈরির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করা বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তওফিক হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

প্রাথমিকভাবে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ২০০ অক্সিজেট তৈরির অনুমোদন দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

এই যন্ত্র কোনো প্রকার বিদ্যুৎ শক্তি ছাড়াই শুধুমাত্র অক্সিজেন সিলিন্ডার বা মেডিক্যাল অক্সিজেন লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত করে ব্যবহার করা যাবে। মে মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এর তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়।

অক্সিজেট সিপ্যাপ প্রকল্পটির আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) শীর্ষক প্রকল্প, অঙ্কুর ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এবং মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।  

বুয়েটের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যন্ত্রটি নিয়ে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত রোগীদের দেহে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে প্রথমে স্বল্প মাত্রায় অক্সিজেন দিতে হয়। কিন্তু এই স্বল্প মাত্রায় রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে উচ্চগতির অক্সিজেন প্রবাহ প্রয়োজন পড়ে যা রোগীকে অবস্থার অবনতি রোধ করতে পারে। করোনা প্রকোপ শীর্ষে থাকা অবস্থায় আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোতে অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে হাই-ফ্লো নেজাল কেনোলা যন্ত্র পাওয়া যায় না। এছাড়াও এ যন্ত্রগুলো ব্যয়বহূল ও ব্যবহার কৌশল জটিল হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হয়। সহজে ব্যবহারযোগ্য অক্সিজেট সিপ্যাপ এই ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে।

অক্সিজেট সি-প্যাপ ভেন্টিলেটর স্বল্প মূল্যে সাধারণ ওয়ার্ডেই উচ্চগতির অক্সিজেন দিতে পারে এবং এতে রুগীদের আইসিইউ এ ভর্তি কমাতে সাহায্য করবে। অক্সিজেট একটি সূক্ষ ভেঞ্চুরী ভাল্ভের মাধ্যমে বাতাস ও অক্সিজেন এর সংমিশ্রণ তৈরি করে অন্তত ৬০ লিটার/মিনিট গতিতে সরবরাহ করে। মেডিক্যাল অক্সিজেন সাপ্লাই ও দ্বৈত ফ্লো-মিটারের সাহায্যে এটি প্রয়োজনে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত অক্সিজেন কনসেন্ট্রেশন দিতে পারে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) এর অনুমোদনক্রমে এটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল এর প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ সফলভাবে অতিক্রম করে তৃতীয় ধাপের অনুমতি লাভ করেছে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় দেখা যায়, চিকিৎসা দেওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে অক্সিজেট সিপ্যাপ রোগীদের রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা (অক্সিজেন স্যাচুরেশন) গড়ে ১১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
এসকেবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।