ভোলা: ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্স সংকটে চালু হচ্ছে না ছয়টি আইসিইউ বেড। এতে গত চার মাস ধরে অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে আইসিইউ বেডগুলো।
সূত্র জানায়, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সেবা নিশ্চিতে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এ বছরের এপ্রিল মাসে তিনটি এবং জুলাই মাসে আরও তিনটিসহ মোট ছয়টি আইসিইউ বেড সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও হাসপাতালে পাঁচটি ভেন্টিলেটর, সাতটি অক্সিজেন কনসেনটেটর ও ছয়টি হাইফ্লু ন্যাচাল ক্যানুলা সরবরাহ করা হয়। চালু রয়েছে সেন্টাল অক্সিজেন সার্ভিস। কিন্তু জনবলের অভাবে চালু হয়নি আইসিইউ বেডগুলো। আইসিইউ বেড চালু করতে প্রয়োজনীয় ধারণা তৈরি করতে তিনজন নার্স প্রশিক্ষণ নিলেও প্রয়াজনীয় জনবল এবং সরঞ্জাম সংকটে আইসিইউ বেড আজও চালু হয়নি।
এদিকে হঠাৎ ভোলায় করোনা সংক্রমণ হার বেড়েছে। সংক্রমণের হার গড়ে ৫০ শতাংশের উপরে। প্রতিদিনই জরুরি করোনা রোগীদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন রোগীর স্বজনরা। জরুরি রোগীদের জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হলেও তাদের নিয়ে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাদের।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে এবং রোগীদের আইসিইউ বেডে স্থানান্তরের প্রয়াজন হলে কোনো উপায় থাকেনা। তখন রোগীর স্বজনদের বাধ্য হয়েই রোগীদের বরিশাল বা ঢাকায় নিয়ে যেতে হয়। এতে রোগী নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাই দ্রুত আইসিইউ বেড চালুর দাবি তাদের।
এ ব্যাপারে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. কেএম শফিকুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, জনবলর এবং সরঞ্জাম সংকটের কারণে আইসিইউ বেড চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা দ্রুত আইসিআই বেড চালুর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জনবল এবং সরঞ্জাম তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনবল বাড়ানোর ব্যাপারেও আমারা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাবো। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত আইসিইউ বেড চালুর করা সম্ভব হবে।
গত ১৪ মাসে ভোলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১১৩ জন করেনা শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ ২ হাজার ৩৪০ জন। বর্তমানে আক্রান্ত আছে এক হাজার ১৪২ জন। করেনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
এনটি