ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ভোলায় শিশুদের নিউমোনিয়া প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীর চাপ

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২১
ভোলায় শিশুদের নিউমোনিয়া প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীর চাপ ...

ভোলা: ভোলায় ফের বাড়েছে শিশুদের নিউমোনিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগ। গত এক সপ্তাহে ৩৮ জন নিউমোনিয়া রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

বর্তমানে জ্বর ও ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অবস্থায় আছে আরো ৪৮ শিশু। এদের মধ্যে শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নতুন করে নিউমোনিয়া আক্রান্ত আছে ২ জন শিশু ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে হাসপাতালে রোগীদের চাপ বেশি থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিত খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা। শয্যা সংকটের কারণে একটি বেডে গড়ে ২/৩টি শিশুকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। টানা বর্ষণের কারণে নিউমোনিয়ার প্রদুর্ভাব বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

করোনা সংক্রমণের মধ্যে হঠাৎ করেই শিশুদের প্রকোপ বাড়ায় শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন অভিভাবকরা।

সুত্র জানায়, ভোলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বেড (শয্যা) রয়েছে ২৫টি এবং কেবিন রয়েছে ৭টি। কিন্তু তার বিপরীতে শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত রোগী ছিল ৪৮ জন। প্রয়োজনীয় সংখ্যাক শয্যা না থাকায় একটি বেড গড়ে ২/৩ জন করে শিশু রোগী গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে।

টানা বর্ষণের কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল (আরএমও) ডা. নিরুপম সরকার সোহাগ। তিনি বলেন, নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য পর্যপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। আমাদের চিকিৎসক এবং নার্সরা তাদের সেবা দিচ্ছেন।

ভোলা সদর শিশু ওয়ার্ডের তথ্য মতে, হাসপাতালে ২৫ জুুলাই ৮ জন, ২৬ জুলাই ৬ জন, ২৭ জুলাই ৮ জন, ২৮ জুলাই ৮ জন, ২৯ জুলাই ৩ জন, ৩০ জুলাই ৭ জন এবং ৩১ জুলাই দুপুর পর্যন্ত ২ জন নিউমোনিয়া রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন নার্সরা।

হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু রোগীদের ভিড়। কোনো শয্যায় দুই জন আবার কোনো শয্যায় ৩ জন করে শিশুরোগী একই সঙ্গে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বজনরা ওই বেডেই গাদাগাদি করে অবস্থান করেছেন। সেবা নিতে তাদের কষ্ট করেই অবস্থান করতে দেখো গেছে।

রোগীর স্বজন নাসরিন ও নাজমা বেগম জানান, তাদের শিশুরা নিউমোনিয়া আক্রন্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাসনাইন বলেন, ৪ দিন ধরে শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। আমরা কষ্ট করে চিকিৎসা নিচ্ছি। রোগীর অবস্থা এখন একটু ভালোর দিকে।

শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্স সারজিনা আক্তার জানান, রোগীদের চাপ অনেক বেশি। যারা ভর্তি হচ্ছেন তাদের বেশীরভাগই নিউমোনিয়া আক্রান্ত। বেড সংকট থাকায় এক বেডে ২/৩ জন করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।