ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসক-নার্সদের পাশাপাশি করোনা রোগীদের সেবায় ২৪ ঘণ্টা পাশে থাকেন স্বজনরা।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) নতুন ভবনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে করোনা রোগীদের পাশে স্বজনদের বসে থাকতে দেখা যায়।
তারা করোনা রোগীর অক্সিজেনের দিকে খেয়াল রাখছেন আবার কেউ কেউ রোগীর অক্সিজেন লেভেল মেশিন দ্বারা মেপে দেখছেন। আক্রান্ত রোগীদের যত রকম সেবা প্রয়োজন তা দিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাজেদা খাতুন (৪২) জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে করোনা ইউনিটের একটি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তার ছেলে আরিফুল খান খাদেম মায়ের সেবা করে যাচ্ছেন।
আরিফুল জানান, মা করোনায় আক্রান্ত, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অক্সিজেনের মাধ্যমে তাকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিজে আক্রান্ত হওয়ার ভয় ভুলে গেছি। মাকে বাঁচাতে হবে।
নতুন ভবনের করোনা ইউনিট থেকে একটি সূত্র জানায়, ঢামেকের করোনা ইউনিটে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। আনুমানিক ৬০০ করোনা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সূত্র আরও জানায়, যদি রোগী থাকে ৬০০ তাহলে আরও ৬০০ জন আছে রোগীর স্বজন। এরা শুধু মাস্ক পরেই তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে অনেক স্বজনও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গত বছরের শুরুতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের পাশে স্বজনরা থাকতে একটু ভয় পেতেন। এখন সেই ভয় কেটে গেছে। এখন স্বজনদের বারণ করলেও তারা কেউ শুনতে চায় না। করোনা আক্রান্তদের পাশে স্বজনদের যদি অবস্থান করতে না দেওয়া হয় তাহলে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করবে। কারণ হাসপাতালের পর্যাপ্ত জনবল নেই।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. আশরাফুল আলম জানান, প্রতিদিনই করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। প্রতি রোগীর জন্য একজন করে নার্স দেওয়া সম্ভব না। কারণ এত লোকজন আমাদের নেই।
তিনি আরও জানান, দেখা গেছে একজন রোগী সুস্থ হয়েছেন, তারাই চিকিৎসক-নার্সদের পাশাপাশি নতুন রোগীদের সেবা করছেন। এভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে নতুন ভবনে করোনা ইউনিটের রোগীদের চিকিৎসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২১
এজেডএস/জেডএ/আরবি