ঢাকা: বাংলাদেশে ক্যান্সার মহামারি ঠেকাতে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রখ্যাত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. বিশাল রাও।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সঙ্গে বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
ডা. রাওয়ের নেতৃত্বে হেলথকেয়ার গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজের (এইচসিজি) একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসেছে। ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকা বিভিন্ন দেশে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিনিময় করছে প্রতিনিধিদলটি।
বৈঠকে বিশাল রাও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ক্যান্সারের ঘটনা ব্যাপকভাবে বাড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে। একদিকে তামাক ও মদ্যপান, অন্যদিকে খাদ্যদ্রব্যে নানা রাসায়নিক, কীটনাশক ব্যবহার ও ভেজাল—এই দুই কারণে ক্যান্সার মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই মহামারিকে ঠেকাতে এখন থেকেই সম্মিলিত উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই ঘোষণাকে সর্বাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে কাজ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে।
ক্যান্সার রোধে চার দফা সুপারিশ করা হয় বৈঠকে। এগুলো হলো—
১. বিশ্বব্যাংকের সুপারিশ অনুসারে কর বাড়িয়ে তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ানো, যাতে এর ব্যবহার কমে এবং অতিরিক্ত রাজস্ব ক্যান্সার শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার মানবৃদ্ধির পিছনে ব্যয় করা যায়।
২. বিক্রয়স্থলে বিভিন্ন ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের (যেমন বিড়ি-সিগারেট, ধোঁয়াবিহীন তামাক) প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা।
৩. পাবলিক প্লেস, হোটেলে ধূমপান নিষিদ্ধ করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাকদ্রব্য বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
৪. ই-সিগারেট ও অনুরূপ ইলেকট্রনিক ডিভাইস বিক্রি ও তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
আরকেআর/এমজেএফ