ঢাকা: ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি চলতি সপ্তাহে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সার্ভাইভারস কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, সক্ষমতা অনুযায়ী সারা দেশের জেলা ও সিটি করপোরেশনের ২১টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহে আমরা টিকাদান শুরু করতে পারবো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমেই তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। শিশুদের জন্য আলাদা টিকাকেন্দ্র তৈরি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শিশু-কিশোরদের টিকার বিষয়টি নানা কারণে এখনো হয়ে উঠেনি। এর প্রধান কারণ হলো, এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দেয়নি। তবে, সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনেভায় গিয়ে ডব্লিউএইচওর ডিজির সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তারা সম্মতি দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। সেটি মাথায় রেখে আমরাও শিশুদের এ টিকা দেবো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১২ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের অনুমোদন না দিলেও বিভিন্ন দেশে তাদের ফাইজার দেওয়া হচ্ছে। আমাদেরও এমনটা পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যে ২১টি কেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে। চাইলে সব জায়গায় ফাইজারতের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের জন্য সারা দেশে তেমন সুযোগ সুবিধা নেই।
তিনি আরও বলেন, ফাইজারের টিকা অন্যান্য টিকার চেয়ে একটু আলাদা। এজন্য আলাদা করে টিকা প্রয়োগকারীদের প্রশিক্ষণের দরকার আছে। জেলা ও সিটি করপোরেশনগুলোর যেখানে সুবিধা আছে, আপাতত সেখানেই দেওয়া হবে। বাকিগুলোতে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।
যেদিন থেকেই শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে, তার আগের দিনই সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২১
আরকেআর/এএটি